রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিমান বাংলাদেশের বিভিন্ন ফ্লাইটের টিকিট নেই বললেও প্রায়ই সিট ফাঁকা পাওয়া যায়। এ নিয়ে রয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। সংস্থাটির সদ্য দায়িত্ব পাওয়া ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা এই সমস্যা সমাধানের ঘোষণা দিয়েছেন। সমস্যাটাকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে এটা থেকে মুক্ত হতে চান বলে জানিয়েছেন নতুন এমডি।
রোববার (৩০ জুন) কুর্মিটোলায় বিমানের বলাকা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
বিমানের নতুন এমডি বলেন, ‘এটির সমাধানকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি। এই সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান করতে চাই। ডিজিটালের পূর্ণ সুবিধা ব্যবহার করে যাত্রীদের সুবিধা দিতে চাই।’
দুর্নীতি হলে কোনো প্রতিষ্ঠান এগোতে পারে না জানিয়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘এখান কোনো সুযোগ নেই। এর আগে এখানে যারা দুর্নীতি করেছে, বিভিন্ন লেয়ারে তাদের শাস্তি হয়েছে। কাউকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, কাউকে পদাবনতি করা হয়েছে, কারও বেতন কমানো হয়েছে। আমিও এই জায়গাগুলোতে কাজ করব এবং অব্যাহত রাখব। আমরা টিকিটিংয়ের জায়গা ও দুর্নীতির জায়গা থেকে মুক্ত হতে চাই।’
জাহিদুল ইসলাম ভূঞা বলেন, ‘বিমান এটি গত ৫২ বছর ধরে করছে। বিভিন্ন দেশের অধিকাংশ বিমানবন্দরে যারা ন্যাশনাল ক্যারিয়ার বা তাদের সিস্টার্স কনসার্ন তারই দায়িত্ব পালন করে। সেই হিসেবে বিমান এটা দাবি করে, আমরা আশাবাদী।’
বিজ্ঞাপন
বিমানের এমডি বলেন, ‘বিমানের এক্সিস্টিং ফ্লাইট বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি। মালে, কুনবিং, জাকার্তা, সিউল ও সিডনিতে পর্যায়ক্রমে প্রত্যাশা করছি। প্রোফিট-লস সিএ ফার্ম দিয়ে নির্ণয় করা হয়। এছাড়া পেট্রোবাংলার বিপিসিতে আমরা নিয়মিত পেমেন্ট করে যাচ্ছি। বকেয়া কমানোর প্রক্রিয়া অন গোয়িং রয়েছে।’
থার্ড টার্মিনালে বিমান গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য প্রস্তত বলেও জানান বিমানের নতুন এমডি।
গত ২৭ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এমডির দায়িত্ব দেওয়া হয় জাহিদুল ইসলামকে। তিনি বিসিএস (প্রশাসন) ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তা। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের একান্ত সচিব হিসেবে গত সাড়ে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন এই কর্মকর্তা।
এমআইকে/জেবি