সমতল থেকে ৪০ হাজার ফিট ওপরে উড়ছেন আপনি। এমন সময় কাউকে দেখে ভালো লেগে গেল। মনে কেমন যেন অস্থিরতা সৃষ্টি হলো। পুরো ব্যাপারটাকে আকাশে প্রেম বলা যায়, তাই না? বলছিলাম বিমানবালার প্রেমে পড়ার কথা। বেশিরভাগ পুরুষ যাত্রীই বিমান ভ্রমণের সময় বিমানবালার প্রতি ভালোলাগা অনুভব করেন।
প্রেমে হাবুডুবু না খেলেও, মিষ্টি ভালোলাগার রেশ মনে থাকে অনেকটা সময়। কেন বিমানবালার প্রেমে পড়েন পুরুষরা? মনোবিজ্ঞান কীভাবে বিষয়টির ব্যাখ্যা করে?
বিজ্ঞাপন
মনোবিজ্ঞানী ও বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বিশেষজ্ঞ জুডি জেমস মনে করেন, পুরুষরা সাধারণত এমন নারীদের পছন্দ করেন যারা তাদের খেয়াল রাখেন। একইসঙ্গে যত্নও নেন। এমন নারীদের প্রতি তাদের ভালোবাসা ও নির্ভরতার সৃষ্টি হয়।
যখন বিমান ওড়ে তখন স্বাভাবিকভাবে মানুষের মনে এক ধরনের অসহায়ত্ব সৃষ্টি হয়। এসময় পুরুষদের মনে ওড়ার ভয় বা দুশ্চিন্তাও থাকতে পারে। নিজেদের ওপর তাদের খুব একটা নিয়ন্ত্রণ থাকে না। ঠিক এমন সময়েই যে মানুষটি সবচেয়ে বেশি কাছাকাছি থাকেন, ভরসা দেন, যত্ন করেন- তিনি হলেন বিমানবালা। একজন আকর্ষণীয় নারী যখন অত্যন্ত সুন্দর ভাষায় ভালোমন্দের দেখভাল করেন, তখন তার প্রতি ভালোলাগা সৃষ্টি হওয়াই স্বাভাবিক।
এই ভালোলাগা বা ভালোবাসা অনেকটা অভিভাবকের প্রতি সন্তানের ভালোবাসার মতো। একই কারণে অনেক রোগী ডাক্তারের প্রেমে পড়েন। নিজের খারাপ সময়ে একজন ভরসা দেওয়ার মানুষকে কে না ভালোবাসে?
বিজ্ঞাপন
আবার, বিমানের সিটের বিন্যাস এমনভাবে করা হয় যেন দেখে মনে হয় যাত্রী কারো মনোযোগের অপেক্ষায় আছেন। অন্যদিকে তার সেবায় নিয়োজিত বিমানবালা থাকেন সুন্দর ও মার্জিত পোশাক পরা। তিনি মিষ্টি হেসে, সুন্দর ভাষায় কথা বলেন। ফলে যাত্রী আকর্ষণ বোধ করেন।
আরেক মনোবিজ্ঞানী প্রফেসর টোবা এলেজবেলের মতে, বিমানবালারা অন্য আর দশজন সাধারণ তরুণীর মতোই। তাদের প্রেমে পড়ার বিষয়টি পুরোটাই একপাক্ষিক। কোনো যাত্রীর সঙ্গে তাদের আলাদা ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকে না।
পুরুষের মনে থাকা ফ্যান্টাসির কারণেই তারা বিমানবালার প্রেমে পড়েন বলে মনে করেন এই মনোবিজ্ঞানী। একই ঘটনা ঘটে যখন তারা হাসপাতালে যান। কোনো নার্স যদি দেখতে ভদ্র, নম্র হন, খুব আন্তরিক ব্যবহার করেন তার প্রেমেও পড়েন পুরুষ।
সুতরাং বলা যায়, বিষয়টি কেবল বিমানবালার ক্ষেত্রেই হয় না। যে কোনো পেশার নারী যারা দেখতে সুন্দর, স্মার্ট এবং ইন্টার পার্সোনাল দক্ষতা সম্পন্ন- তাদের প্রেমে সহজেই পড়েন পুরুষ।
এনএম/এজেড