বিমান ভ্রমণে যাত্রীদের ফ্রি খাবার সরবরাহ করে উড়ান পরিচালনাকারী সংস্থা। একই ভাবে পাইলট, কো-পাইলট এবং কেবিন ক্রুদেরও খাবার দেওয়া হয়। এসব খাবার বিমানে রান্না করা হয় না। বিমানের ক্যাটারিং সার্ভিস থেকে বিমানে খাবার আসে।
মজার বিষয় হচ্ছে, বিমানের পাইলট ও কো-পাইলটের খাবারের মেন্যু আলাদা হয়। অনেকেই ভাবতে পারেন, বিমানের সর্বাধিনায়ক পাইলট। তাই তার খাবার ভালো মানের, আলাদা। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। এর পেছনে রয়েছে একটি ঘটনা।
বিজ্ঞাপন
১৯৮২ সালে বোস্টন থেকে লিসবনগামী একটি বিমানে পুডিং খেয়ে ‘ফুড পয়জনিংয়ের’ শিকার হন বিমানটির ১০ জন ক্রু, পাইলট, কো-পাইলট ও ফ্লাইট প্রকোশলীসহ সবাই। যদিও পরবর্তীতে বিমানটি গন্তব্যস্থল লিসবনে না পৌঁছে বোস্টনেই জরুরি অবতরণ করে।
সেই ঘটনার পরই বিমান উড়ান পরিচালনাকারী সংস্থাগুলো নিয়ম করে দেন যে, পাইলটদের খাবারের তালিকা হবে ভিন্ন। সে তালিকায় মাছ, মাংস বা পাকস্থলির জন্য ক্ষতিকর কোনো খাবার সরবরাহ করা যাবে না।
তাই বড় এয়ারলাইন্স পাইলট ও কো-পাইলটের জন্য একই খাবার বরাদ্দ করে না। কারণ পাইলট ও কো-পাইলট যাতে একই খাবারে ফুড পয়জনিংয়ের শিকার না হয়।
বিজ্ঞাপন
এজেড