আপনি যদি বিমান ভ্রমণের সময় সঙ্গীর সঙ্গে ঝগড়া করেন তবে আপনাকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। জানলে অবাক হবেন বিশ্বের বেশ কিছু বিমানে এমন অদ্ভুত আইন আছে।
সম্প্রতি মিউনিখ থেকে ব্যাংককগামী লুফথানসা এয়ারলাইন্সের একটি বিমানকে দিল্লিতে জরুরি অবতরণ করতে হয়েছিল। যার কারণ ছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া। ভাবা যায়? প্রত্যক্ষদর্শীরাও এই ঘটনায় অবাক।
বিজ্ঞাপন
তাদের ভাষ্য, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার শুরুটা স্বাভাবিকই ছিল। সামান্য কথাকাটাকাটি। তবে কেবিন ক্রুরা মধ্যস্থতা করে দুজনকেই শান্ত করেন। কিন্তু সেই দম্পতি থামেননি। ঝগড়া বাড়তেই থাকে। বাড়তে বাড়তে তা মারামারিতে গিয়ে পৌঁছায়।

পরিস্থিত এমন হয় যে পাইলট বিমান নিয়ে তড়িঘড়ি জরুরি অবতরণ করেন। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে যে, বিমানে যাত্রীদের মধ্যে মারামারি আটকাতে আদৌ কি কোনও আইন রয়েছে?
প্লেনে মারামারি হলে কী হয়?
বিজ্ঞাপন
যাত্রীরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করলে তাদের জেল পর্যন্ত হতে পারে। তাই যারা বিমানে ভ্রমণ করেন প্রায়ই, তারা নিজেদের আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন এবং সহযাত্রীর সঙ্গে সঠিক আচরণ করুন।
কেউ যদি অস্ত্র নিয়ে বিমানে ওঠেন, তাহলে তার জেলও হতে পারে। এছাড়া সেই যাত্রীর জিনিসপত্র বাজেয়াপ্তও করা হতে পারে। যদি কোনও যাত্রী ক্রুকে ভয় দেখান বা হুমকি দেন, তাহলে তাকে আর বিমানে চড়তে দেওয়া নাও হতে পারে। ক্রু মেম্বারদের কাজে হস্তক্ষেপ করাও অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।

ভুলেও এই জিনিসগুলো নিয়ে বিমানে উঠবেন না
বিমানে ভ্রমণের সময় কোনও যাত্রী কোনও ধরনের দাহ্য পদার্থ সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন না। বিমানে দিয়াশলাই, লাইটার এবং আতশবাজি বহন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এছাড়া ছুরি, ব্লেড, কাঁচির মতো কোনো ধারালো জিনিস বহনেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমনকি পারদ থার্মোমিটার নিয়েও বিমানে ওঠা যায় না। এছাড়া খেলনা অস্ত্র, পাওয়ার ব্যাঙ্ক, তেজস্ক্রিয় পদার্থ-চুম্বক, স্প্রে পেইন্ট বহনেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কারও কাছে এইসব জিনিস পাওয়া গেলে তাকে জেলে যেতে হতে পারে, দিতে হতে পারে মোটা অংকের জরিমানাও।

কেন এমন নিয়ম?
বিমান ভ্রমণের সময় প্রত্যেক যাত্রীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা জরুরি। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই এই ধরনের বিধিনিষেধ এবং নিয়ম প্রণয়ন করা হয়েছে।
অনেক সময় অপরাধ প্রবণ ব্যক্তিরা নিষিদ্ধ জিনিসপত্র বহন করে বিমানে বিপদ ঘটায়, যে কারণে অন্যান্য যাত্রীদের নিরাপত্তা বিপন্ন হয়ে পড়ে। এছাড়া যেসব জিনিসে দ্রুত আগুন লেগে যায়, সেগুলির কারণে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এগুলিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমন অবস্থায়, যদি তদন্ত করে জানা যায় যে, এই জিনিসগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে কারও ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে আনা হয়েছিল, তাহলে যাত্রীকে কেবল জেলে পাঠানোই হবে না, তার লাগেজও বাজেয়াপ্ত করা হবে।
এজেড

