বুধবার, ৮ মে, ২০২৪, ঢাকা

প্রথম বিমান ভ্রমণ উপভোগ্য করুন ৬ উপায়ে

এভিয়েশন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২২, ০৩:০০ পিএম

শেয়ার করুন:

প্রথম বিমান ভ্রমণ উপভোগ্য করুন ৬ উপায়ে

বিমান ভ্রমণের স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। প্রথমবার বিমান ভ্রমণ নিয়ে থাকে নানা জল্পনা-কল্পনা। আর অভিজ্ঞতা হয় চমৎকার। আপনি যদি বিমানে ওঠা নিয়ে ভয়ে থাকেন তবে তা এখনই ঝেড়ে ফেলুন। সঠিক প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করুন। এতে জীবনের প্রথম বিমান ভ্রমণ হয়ে উঠবে সুন্দর ও উপভোগ্য। নিশ্চিতে বিমান যাত্রা উপভোগ করতে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। 

টিকিট বুক করুন 


বিজ্ঞাপন


বিমান ভ্রমণ করতে চাইলে সর্বপ্রথম টিকিট বুক করতে হবে। যেদিন যে সময়ে যেতে চাইছেন বিমানের শিডিউলের সঙ্গে মিলিয়ে সেই দিনের টিকিটের জন্য যোগাযোগ করুন। ট্রাভেল এজেন্ট বা অনলাইনের মাধ্যমে কাজটি করতে পারেন। শেষ সময়ে টিকিট না কেটে হাতে সময় রেখেই কাটুন। 

travelফ্লাইটের জন্য প্রস্তুতি নিন 

এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে ঘর ছাড়ার আগে ভালো করে দেখে নিন সব প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়েছেন কিনা। পাসপোর্ট, ভিসা, ভ্রমণ সংক্রান্ত কাগজপত্র ইত্যাদি হাতের নাগালে রাখুন। এয়ারপোর্টে কিছু নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তাই দ্রুত বিমানবন্দরে পৌঁছে যাওয়াই ভালো। সঙ্গে বড় ব্যাগ বা লাগেজ বহন করলে আগেই জেনে নিন কতটুকু ওজন নিতে পারবেন। নয়তো বাড়তি ওজনের জন্য বাড়তি ভাড়া গুণতে হবে। 

চেক ইন করুন 


বিজ্ঞাপন


এয়ারপোর্ট টার্মিনালে ফ্লাইট খুলে দেওয়ার পর প্রথমেই চেক ইন করুন। টার্মিনালের মনিটর এবং বোর্ডের দিকে খেয়াল রাখুন। এ সময় আপনাকে টিকিট, পরিচয়পত্র, ভ্রমণ সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখাতে হবে। এখানে লাগেজ জমা দেবেন। চেক ইন অফিসার আপনাকে বোর্ডিং পাস এবং লাগেজের জন্য একটি কার্ড দেবেন।

travelবোর্ডিং

চেক ইনের পর আপনাকে ডিপার্চার লাউঞ্জে যেতে হবে। এখানে সব সিকিউরিটি চেক করা হবে। আপনার ফোন, জ্যাকেট, ল্যাপটপ বাইরে রেখে যেতে হতে পারে। সব ঠিক থাকলে সিকিউরিটি অফিসার আপনার হ্যান্ডব্যাগ এবং বোর্ডিং পাসে স্ট্যাম্প দেবেন। দেশের বাইরে গেলে এ পর্যায়ে ইমেগ্রেশন তথ্য চেক করা হয়। সব ধরনের ডকুমেন্ট এখানে দেখাতে হবে। কোনো কিছু সন্দেহজনক মনে হলে আপনার ফ্লাইট বাতিল হতে পারে। সবকিছু সম্পন্ন হলে আপনাকে বিমানে ওঠার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। 

বিমানে ওঠার পর 

ঝামেলার ধাপগুলো শেষ করে বিমানে উঠেছেন আপনি। এবার বোর্ডিং পাসে দেওয়া সিট নম্বর অনুযায়ী নির্দিষ্ট সিটে বসে পড়ুন। সব যাত্রী প্রবেশ করার পর বিমানের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। উড্ডয়নের আগে কিছু সতর্কতামূলক নির্দেশনা দেওয়া হবে। 

travelটেক অফ করতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। শব্দও বাড়তে পারে। সিট বেল্ট অ্যালার্ম বা স্মোকিং অ্যালার্মেরর জন্য এমন শব্দ হতে পারে। সিটবেল্ট সিগন্যাল দেখা যাওয়ার পর দাঁড়ানো যাবে না। প্লেন একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় উঠলে এই সিগন্যাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। তখন আপনি ফ্রেশ হতে উঠতে পারবেন। খাবার খেতেও যেতে পারবেন। 

ল্যান্ড করার পর

ল্যান্ড করার সময় আপনি বুঝতে পারবেন যে বিমান নিচের দিকে যাচ্ছে। বিমানের চাকা রানওয়ে স্পর্শ করলে শব্দ বাড়তে থাকতে। গতি ধীর হতে থাকে। বিমান থামানোর সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়িয়ে যাবেন না। সিট বেল্ট খোলার নির্দেশনা দেওয়া অব্দি অপেক্ষা করুন। আপনাকে টার্মিনালে নামিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকে ইমিগ্রেশন অফিসে পাসপোর্ট দেখাতে হবে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে। এরপর ব্যাগ বুঝে নিন এবং বেরিয়ে পড়ুন। 

এই পদক্ষেপগুলো মেনে চললে বিমান ভ্রমণে আর কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না। বিমানবন্দরে তথ্য কেন্দ্র থাকে। কোনো প্রয়োজন হলে সেখানে যেতে পারেন। 

এনএম/এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর