শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বিমানের ইঞ্জিনে কেন মুরগি ছুড়ে মারা হয়

নিশীতা মিতু
প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২২, ০৩:১৪ পিএম

শেয়ার করুন:

বিমানের ইঞ্জিনে কেন মুরগি ছুড়ে মারা হয়

বিমানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ এর ইঞ্জিন। এর সামান্য ত্রুটির কারণেও ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। এমনকি বিমান বিধ্বস্তও হতে পারে। তাই, ইঞ্জিন তৈরিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বেশ কিছু ধাপে পরীক্ষা করা হয় এর কার্যক্ষমতা। এগুলোতে টিকলে তবেই ইঞ্জিনই বিমানে ব্যবহৃত হয়। নয়তো সেটি বাদ দেওয়া হয়। 

বিমানের কার্যদক্ষতা ঠিক আছে কিনা তা দেখার জন্য যে পরীক্ষাগুলো করা হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো, চলন্ত ইঞ্জিনে মুরগি ছুড়ে মারা। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যিই এই কাজটি করা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এমন কাজ করা হয়? 


বিজ্ঞাপন


aircraftএই পরীক্ষাটির জন্য একটি চিকন ক্যাননের মাধ্যমে কয়েকটি মৃত মুরগি ইঞ্জিনে ছুড়ে মারা হয়। এই কামানটি চিকেন গান নামে পরিচিত। এক্ষেত্রে উৎকৃষ্ট মাপের মৃত মুরগি ব্যবহার করা হয়। ১৯৫০ সালে প্রথম এই পরীক্ষা করা হয়। 

যে কারণে মুরগি ছুড়ে মারা হয়

মধ্য আকাশে বিমান যখন উড়ে বেড়ায় তখন হঠাৎ পাখির ঝাঁক এসে বিমানটিকে ধাক্কা দিতে পারে। পাখি গিয়ে পড়তে পারে ইঞ্জিনে। যার ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। 

aircraftএদিকে, বেশিরভাগ পাখির সঙ্গেই মুরগির সামঞ্জস্যতা রয়েছে। আকারে, আকৃতিতে অন্যান্য পাখির সঙ্গে মুরগির মিল অনেক। এটি সহজলভ্য ও সস্তাও। তাই, ইঞ্জিনের কার্যদক্ষতা পরীক্ষা করে দেখার জন্য মুরগি ছুড়ে মারা হয়। ইঞ্জিন যদি এই পরিস্থিতি সামলে সচল থাকতে পারে তাহলে তার কার্যদক্ষতা ঠিক আছে। নাহয়, সেটি বাতিল করা হয়। 


বিজ্ঞাপন


একইভাবে বিমানের উইন্ডশিল্ড বা সামনের কাঁচের কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করতে চিকেন গানের মাধ্যমে মুরগি ছোড়া হয়। কারণ, পাখির ঝাঁক বিমানের সামনের কাঁচেও ধাক্কা মারার আশংঙ্কা থাকে। 

যদিও আধুনিক বিমানের ইঞ্জিনে পাখির আক্রমণ খুব একটা হয় না। কেননা, ইঞ্জিনের কেন্দ্রে ঘূর্ণায়মান বিশেষ নকশা আঁকা থাকে। যা দেখে পাখিরা আগাম সতর্ক হয়ে যায়। পুরোনো মডেলের ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে এমন দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে।

সূত্র: অ্যাভিয়েশন উইক ডট কম 

এনএম/এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর