মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

এয়ার হোস্টেস কীভাবে হবেন?

এভিয়েশন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ জুলাই ২০২৩, ০৩:৪৩ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

এয়ার হোস্টেস বা বিমানবালা একটি উড়োজাহাজের প্রয়োজনীয় কর্মী। এজন্য এদের কেবিন ক্রু নামেও ডাকা হয়। একটি বিমান চালাতে যেমন পাইলট লাগে, তেমনি ক্রেবিন ক্রুদেরও সহায়তা লাগে। অনেকেই মনে করেন এয়ার হোস্টেসরা বুঝি কেবলমাত্র বিমানে খাবার পরিবেশন করেন। আসলে তাদের কাজ অনেক। এটা ঠিক যে তারা বিমানে যাত্রীদের খাবার পরিবেশনও করেন। তবে বিমান উড্ডয়নের আগ থেকেই তাদের কাজ শুরু হয়। 

একজন যাত্রী যখন বিমানে চড়ার জন্য ওঠেন তখন থেকে বিমান থেকে নামা পর্যন্ত সহায়তা করেন। পাইলটদের সাপোর্টিং স্টাফ হিসেবেও কাজ করেন। বিমানের দরজা লাগানো। পাইলটদের হয়ে বিভিন্ন ঘোষণা দেওয়ার কাজটিও এয়ার হোস্টেসরা করে থাকেন। 


বিজ্ঞাপন


air hostessবিমানে এয়ার হোস্টেসদের কাজ কী?

বিমানে জরুরি সরঞ্জাম রয়েছে কিনা পরীক্ষা করেন একজন এয়ার হোস্টেস। বিমানের যাত্রীরা নিরাপত্তা বিধান পুরোপুরি মেনেছেন কিনা তা নিশ্চিত করেন। জরুরি পরিস্থিতিতে যাত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা তথ্য প্রদান করেন। 

আরেকটু বিশদভাবে বললে, বিমান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রয়েছে কিনা, ফার্স্ট এইড আছে কিনা এসব দেখেন এয়ার হোস্টেস। সি পকেট থেকে শুরু করে খাবার-দাবার সবকিছুর খোঁজ রাখতে হয় তাকে। 

air hostessযাত্রীদের টিকিট মিলিয়ে দেখা, কেবিন লাগেজ সিটে পৌঁছাতে সহায়তা করা, যাত্রীদের নিজ সিট খুঁজে পেতে সাহায্য করার কাজও করেন থাকেন কেবিন ক্রু বা এয়ার হোস্টেস। বিমান ওড়ার আগে সিট বেল্ট লাগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়ে থাকেন তিনি। পাইলটের পক্ষ থেকে বিমান ওঠানামা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যও যাত্রীদের দিয়ে থাকেন একজন ক্রু মেম্বার।  


বিজ্ঞাপন


বিভিন্ন জরুরি সরঞ্জাম কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা যাত্রীদের শিখিয়ে দেন এয়ার হোস্টেস। জরুরি অবতরণ বা কোনো সমস্যায় কী করে নিরাপদ থাকা যাবে সেই সংক্রান্ত তথ্যও দেন তিনি। 

কোনো যাত্রীর বালিশ বা কম্বল প্রয়োজন হলে তিনি তা এগিয়ে দেন। যেসব যাত্রীরা বিমান ভ্রমণে ভয় পান, তাদের সঙ্গে সান্ত্বনা দেওয়া বা পরামর্শ দেওয়ার কাজটিও করেন তারা।  

air hostessএয়ার হোস্টেস হওয়ার যোগ্যতা কী?

যেহেতু একজন এয়ার হোস্টেস যাত্রীদের নানান ধরনের পরিষেবা দিয়ে থাকেন, তাই তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হয়। কেননা, তাকে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কাটাতে হয়। একজন এয়ার হোস্টেসকে একটানা ১২ ঘণ্টাও কাজ করতে হতে পারে। তাদের কাজের কোনো নির্দিষ্ট সময় থাকে না। রাতে, সপ্তাহে বন্ধের দিনে এমনকি ছুটির দিনেও  কেবিন ক্রুদের কাজ করা লাগে। এ কারণে এই পেশা চ্যালেঞ্জিং। 

কীভাবে হবেন এয়ার হোস্টেস?

সাধারণত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যে কেউ এয়ার হোস্টেস হতে পারেন। কিছু প্রতিষ্ঠান অবশ্য স্নাতক সম্পন্ন হোস্টেস চেয়ে থাকেন। এয়ার হোস্টেস হতে চাইলে উচ্চতা হতে হবে সাধারণের চেয়ে একটু বেশি (মেয়েদের জন্য কমপক্ষে ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং ছেলেদের জন্য ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি)। উচ্চতার সঙ্গে থাকতে হবে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওজন। যোগাযোগ দক্ষতায় অবশ্যই ভালো হতে হবে। জানা থাকতে হবে সাঁতার। ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকা লাগবে। 

নানা চ্যালেঞ্জ থাকলেও এয়ার হোস্টেস পেশা হিসেবে বেশ রোমাঞ্চকর। তরুণরা সহজে এতে আকর্ষিত হন। এই পেশায় বেতনও ভালো পাওয়া যায়। 

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন


News Hub