রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বাংলাদেশ টু সৌদি আরব বিমান ভাড়া কত?

এভিয়েশন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ জুলাই ২০২৩, ১০:০৬ এএম

শেয়ার করুন:

বাংলাদেশ টু সৌদি আরব বিমান ভাড়া কত?

মধ্যপ্রাচ্যের যতগুলো দেশ আছে তার মধ্যে বাংলাদেশিরা বেশি যান সৌদি আরবে। দেশটিতে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি উড়ান পরিচালনাকারী সংস্থার উড়োজাহাজ আছে। সেগুলোতে চড়ে সৌদি যাওয়া যায়। ঢাকা টু সৌদি জনপ্রিয় বিমান রুট। এই রুটের বিমান ভাড়া জানুন।  

সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশের জন্য আলাদা আলাদা ফ্লাইট পাওয়া যায়। এসব শহরের প্রধান বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের ফ্লাইট টিকেট পাওয়া যাবে খুব সহজেই। সরাসরি কিংবা স্টপেজ দুই ধরনের ফ্লাইটই পাওয়া যেতে পারে।


বিজ্ঞাপন


সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশ খুব জনপ্রিয় একটি রুট হওয়ায় এই রুটে নামীদামী অসংখ্য এয়ারলাইন্স তাদের নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। এসব এয়ারলাইন্সের মধ্যে দেশীয় এয়ারলাইন্স ছাড়াও আছে বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইন্স।

একমাত্র দেশীয় এয়ারলাইন্স হিসেবে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত নিয়মিত বিমান পরিচালনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এছাড়া বিদেশি ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিমান সংস্থার মধ্যে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এগুলো হলো- গালফ এয়ার, ভিস্তারা, কাতার এয়ারওয়েস, ফ্লাই দুবাই, ইন্ডিগো এয়ার, এমিরেটস, কুয়েত এয়ারওয়েস, ইতিহাদ এয়ারওয়েস, ওমান এয়ার, ইজিপ্টএয়ার, তার্কিশ এয়ারলাইন্স, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স, শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স, কান্তাস এয়ারওয়েস, এয়ার এরাবিয়া ইত্যাদি। এসব এয়ারলাইন্স সরাসরি এবং স্টপেজ দুই ধরণের ফ্লাইটই পরিচালনা করে থাকে।

flyটিকিট ও ফ্লাইটের ধরন

টিকেট ও ফ্লাইটের ধরন অনুযায়ী বিমান ভাড়া পরিবর্তিত হয়। সাশ্রয়ে ভ্রমণের জন্য ইকোনমি ক্লাসের টিকেট এবং আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য আছে বিজনেস ক্লাসের টিকেট। আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী যে কোন ধরণের টিকেট নিতে পারেন।


বিজ্ঞাপন


এছাড়া কিছু এয়ারলাইন্স সরাসরি সৌদি আরব থেকে ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে। এসব ফ্লাইটে সবথেকে কম সময়ে ঢাকা পৌঁছে যাওয়া যায়। তবে বেশিরভাগ ফ্লাইটই স্টপেজ ফ্লাইট। অর্থাৎ আপনাকে মাঝপথে কোথাও থেমে এরপর ঢাকা পৌঁছে দেয়া হয়। এতে সময় কিছুটা বেশি লাগে।

সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশ বিমান ভাড়া

বিমান ভাড়ার ব্যাপারটি প্রতি নিয়তই পরিবর্তন হয়। কোন নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক বিমান ভাড়া কতো সেটি আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমেই জেনে নিতে হবে। 

সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। তবে বাংলাদেশিদের কাছে সবথেকে জনপ্রিয় ৪টি শহর। এই শহরগুলো হলো-জেদ্দা, মদিনা, রিয়াদ ও দাম্মাম। এখান থেকেই বাংলাদেশের ফ্লাইট সবথেকে বেশি পাওয়া যায়। 

জেদ্দা থেকে ঢাকা

জেদ্দা সবথেকে জনপ্রিয় গন্তব্য বাংলাদেশ থেকে। জেদ্দা সৌদি আরবের বন্দর শহর হওয়ায় এখানে ব্যবসা ও বাণিজ্যের অসংখ্য সুযোগ রয়েছে। এছাড়া চাকরি বা কাজের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশিদের কাছে এই শহর অত্যন্ত জনপ্রিয়। কাজেই জেদ্দা থেকে ঢাকা রুটে সবথেকে বেশি ফ্লাইট চলাচল করে থাকে। জেদ্দা থেকে ঢাকার সরাসরি ফ্লাইটও পাওয়া যায়। তবে স্টপেজ ফ্লাইটই বেশি।

flyজেদ্দা থেকে সবথেকে কম বিমান ভাড়ায় আপনি ঢাকা পৌঁছাতে পারবেন ভিস্তারার ফ্লাইটে। তাদের টিকিট দাম শুরু হয় ৩০ হাজার টাকা থেকে। তবে ৯৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন রকমের টিকিট তাদের রয়েছে। এছাড়াও ৩০ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা এয়ারলাইন্স এমিরেটসের ফ্লাইটও আপনি পেয়ে যাবেন। এগুলো সবই স্টপেজ ফ্লাইট এবং ১০ ঘণ্টা থেকে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে এসব ফ্লাইটে। ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে কাতার এয়ারওয়েস, জাজিরা এয়ারওয়েস, ফ্লাই দুবাই, গালফ এয়ার, ইন্ডিগো এয়ার ইত্যাদি বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টিকিট পাবেন। ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ফ্লাইট টিকিটের মূল্য রয়েছে।

তবে সরাসরি ফ্লাইট পেতে পারেন সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের। তাদের সরাসরি ফ্লাইটের মূল্য শুরু ৮২ হাজার টাকা থেকে। ৬ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট সময় লাগতে পারে এই ফ্লাইটে।

মদিনা থেকে ঢাকা

২৯ হাজার টাকা থেকে কাতার এয়ারওয়েস মদিনা থেকে অসংখ্য ফ্লাইট পরিচালনা করে ঢাকা পর্যন্ত। তবে এসবই স্টপেজ ফ্লাইট। এমিরেটস ও ফ্লা ইদুবাইও ৩২ ও ৩৪ হাজার টাকা থেকে তাদের বিমান ভাড়া রাখে এই রুটে। ১২ ঘণ্টা থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে এসব ফ্লাইটে। তার্কিশ এয়ারলাইন্স ও ওমান এয়ারের টিকিটও আপনি পেয়ে যাবেন ৫০ হাজার টাকার মধ্যেই। এক লাখ টাকার মধ্যে এয়ার অ্যারাবিয়া ও সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের টিকেট পাওয়া যেতে পারে। ৬০ হাজার টাকা থেকে ৬ ঘণ্টা ১০ মিনিটের সরাসরি ফ্লাইট পেতে পারেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের।

flyরিয়াদ থেকে ঢাকা

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ঢাকা পর্যন্ত নিয়মিত বেশ কিছু ফ্লাইট পাওয়া যায় ৩৬ হাজার টাকা থেকে টিকিট মূল্যে। ফ্লাই দুবাই এই রুটে সবথেকে সাশ্রয়ী মূল্যে টিকিট দিচ্ছে। ৩০ হাজার ৫০০ টাকায় এমিরেটসও এই রুটে বেশ সাশ্রয়ী ফ্লাইট পরিচালনা করে। গালফ এয়ারের টিকিট পাবেন ৪০ হাজার টাকার আশেপাশেই।

৫০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে থাকে এয়ার এরাবিয়া, শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স কাতার এয়ারওয়েস, ইন্ডিগো এয়ার ইত্যাদি এয়ারলাইন্সের টিকেট। এগুলো সবই স্টপেজ ফ্লাইট। সরাসরি ফ্লাইটের সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের টিকেট শুরু ৮০ হাজার টাকা থেকে। সময় লাগে মাত্র ৫ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট। এছাড়া বিমান বাংলদেশ এয়ারলাইন্সের সরাসরি ফ্লাইটও পাওয়া যায় এখানে।

দাম্মাম থেকে ঢাকা

এই রুটের বিমান ভাড়া সবথেকে সাশ্রয়ী। এখানে আপনি মাত্র ২৪ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কাতার এয়ারওয়েসের বিমান টিকিট পেয়ে যাবেন। এছাড়া ২৯ হাজার টাকা থেকে রয়েছে এয়ার অ্যারাবিয়ার ফ্লাইট। ফ্লাইদুবাই, গালফ এয়ার, ইন্ডিগো এয়ার ইত্যাদি এয়ারলাইন্সের টিকেটও রয়েছে ৫০ হাজার টাকার মধ্যেই। ৫০ হাজার টাকা থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সরাসরি ফ্লাইটও রয়েছে এই রুটে।

জেনে রাখা ভালো, বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের বিভিন্ন ধরনের যে বিমান ভাড়া জানানো হলো তা ওঠা-নামা করে। কেননা, এয়ারলাইন্সগুলো বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের অফার দেয়। তাই সৌদি থেকে ঢাকার বিমান ভাড়া জানার জন্য সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স কোম্পানির ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ কিংবা এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করুন। 

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর