যানবাহন চলার জন্য যত ধরনের জ্বালানি আছে তার মধ্যে সস্তা ডিজেল। কিন্তু তারপরও এই জ্বালানিতে মোটরসাইকেল চলে না। মোটরবাইক চলে পেট্রোল কিংবা অকটেনে। যার দাম ডিজেলের চেয়ে বেশি। স্বাভাবিকভাবেই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে বাইক কেন ডিজেলে চলে না?
জানলে অবাক হবেন মোটরসাইকেল এক সময় ডিজেলে চলতে। ২০-২০ বছর আগেও চলত। সে সময় অ্যাম্বাসেডর কোম্পানি যে সকল মডেলের মোটরসাইকেল এনেছিল তার সবগুলোই ডিজেলচালিত ছিল। ওসব বাইক জনপ্রিয়ও ছিল। কিন্তু এখন সেসব অতীত।
বিজ্ঞাপন
বাইক ডিজেলের পরিবর্তে পেট্রোল দিয়ে চালানোর কারণ রয়েছে অনেক। বাইকের ডিজাইন এবং ইঞ্জিন এমন ভাবে তৈরি করা হয়, যেগুলো পেট্রলেই চলতে পারে। পেট্রোলের পরিবর্তে যদি আপনি যদি ডিজেলে বাইক চালাতে চান, তাহলে আপনার বাইকের চাকা আর গড়াবে না। যদি ভুল করেও আপনার বাইকের ফুয়েল ট্যাংকে ডিজেল ভরে ফেলেন, তাতে বাইক চলবে না। যতক্ষণ না সেখানে পেট্রোল ভরা হচ্ছে, ততক্ষণ স্টার্ট হবে না বাইকের ইঞ্জিন।
কিন্তু কেন ডিজেল দিয়ে বাইক চালানো সম্ভব নয়? আসলে পেট্রোলের থেকে ডিজেলের ঘনত্ব অনেক বেশি। যে কারণে ডিজেল দহন করার জন্য ইঞ্জিনে অনেক বেশি চাপ দিতে হয়। তবে বাইকের ইঞ্জিনে সেই চাপ দেওয়ার সামর্থ্য থাকে না। ঠিক একই কারণে পেট্রোলের পরিবর্তে যদি বাইকে ডিজেল ভরা হয়, তাহলে বাইকের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। ডিজেল ইঞ্জিনের চাপের অনুপাত পেট্রোল ইঞ্জিনের চাপের অনুপাতের থেকে বেশি হয়। এটিও একটি বড় কারণ ডিজেল দিয়ে বাইক না চলার।
ডিজেল চালিত ইঞ্জিনগুলোতে শব্দ এবং কম্পন বেশি হয়। সেই শব্দ সহ্য করার ক্ষমতা থাকে না বাইকের ইঞ্জিনে। যার ফলে বাইকের ইঞ্জিন কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
অন্যদিকে ডিজেল অনেক উচ্চচাপে কাজ করে। যে কারণে ডিজেল চালিত ইঞ্জিনগুলো তাড়াতাড়ি ব্রেক ডাউন হয়ে যায়। ফলে ডিজেল চালিত ইঞ্জিন গুলোর ইঞ্জিন অয়েল ৫০০০ কিলোমিটার হওয়ার পরেই পরিবর্তন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেখানে পেট্রোল চালিত ইঞ্জিনগুলোর ইঞ্জিন অয়েল ৬০০০ থেকে ৮০০০ কিলোমিটার পরে পরিবর্তন করতে বলা হয়।
বিজ্ঞাপন
এজেড

