শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বিমানের অটোপাইলট সুবিধা গাড়িতেও

অটোমোবাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২৩, ১১:২৩ এএম

শেয়ার করুন:

বিমানের অটোপাইলট সুবিধা গাড়িতেও

ড্রাইভারলেস টেক বা অটো পাইলট মোড নিয়ে বিগত দিনে অনেক গবেষণা হয়েছে। এতদিন খাতায় কলমে প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা চললেও এবার বাস্তবে সেই প্রযুক্তি সম্পন্ন গাড়ি হাজির করেছে টেসলা, মার্সিডিজ সব বেশ কয়েকটি সংস্থা।

এই প্রযুক্তির অন্যতম সুবিধা হল গাড়িতে নিশ্চিন্তে বসে থাকবেন চাইলে ড্রাইভার সিটেও, কিন্তু স্টিয়ারিংয়ে হাত দিতে হবে না। গাড়ি অটোপাইলট মোডে করে দিলেই আপনা-আপনি দৌড়বে চাকা। এই প্রযুক্তি একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে চলেছে অটোনমাস প্রযুক্তি।


বিজ্ঞাপন


বর্তমানে অটোপাইলট মোড যেই কোম্পানির গাড়িতে সবথেকে বেশি দেখা যায় তা হল টেসলা। প্রায়শই ইউটিউব ভিডিও বা কোনো সিনেমায় দেখবেন অটোপাইলট মোডে গাড়ি চালাচ্ছেন টেসলা গাড়ি মালিক। কিন্তু সম্প্রতি এই প্রযুক্তি নিয়ে একটি বিরাট বড় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।

জেনেরাল মোটরসের সিইও দাবি করেন, যে সব ইলেকট্রিক গাড়ির দাম ৩০ হাজার ডলার থেকে ৪০ হাজার ডলার সেগুলো এই দশক শেষ হওয়ার পর্যন্ত লাভজনক হবে না। আর এই দামের গাড়িতে সবথেকে বেশি ব্যবহার হয় অটো পাইলট মোড। সংস্থার এমন মন্তব্য আসতেই টুইটারে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইলন মাস্ক।

তিনি টুইট করে বলেন, টেসলা অন্যান্য গাড়ি সংস্থাগুলোর যতটা সম্ভব সহায়ক হতে চান। আমরা বেশ কয়েক বছর আগেই আমাদের পেটেন্ট করা সমস্ত কিছু বিনামূল্যে যোগ করেছি।

তিনি বলেন, বাকি সংস্থাগুলো আমাদের সুপারচার্জার নেটওয়ার্ক। অটোপাইলট মোড প্রযুক্তি ব্যবহার করুক তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।


বিজ্ঞাপন


আসলে টেসলার এই প্রযুক্তি বাকি সংস্থাগুলোর থেকে অনেকটাই আলাদা করেছে। বিগত দিনে এর ব্যবহার বেড়েছে। বর্তমানে টেসলার প্রায় সব গাড়িতেই অটোপাইলট মোড পাওয়া যায়। এই ক্ষেত্রে টেসলার আধিপত্য থাকলেও অটোমেটেড ড্রাইভিং সিস্টেম প্রযুক্তি বাস্তবায়নে টেসলাকে হারিয়ে দিয়েছে মার্সিডিজ।

CAR AUTOPILOTসম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রথম সংস্থা হিসাবে গাড়ি চালানোর অনুমতি পেয়েছে মার্সিডিজ। উক্ত প্রযুক্তির সুবিধা হল এখানে চালকের কোনো সক্রিয়তা ছাড়াই গাড়ি হাইওয়ের মতো রাস্তায় দৌড়তে পারে।

এই সিস্টেমের নাম ড্রাইভ পাইলট, এখানে চালক সজাগ না থাকলেও গাড়ির কোনো বিপত্তি হবে না। তবে এই মোড থাকলে গাড়ির গতি 40 মাইল প্রতি ঘণ্টার বেশি নিয়ে যাওয়া যাবে না।

এই প্রযুক্তিটিকে লেভেল ৩ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদিকে টেসলার অটো পাইলট মোড এবং জেনেরাল মোটরসের সুপার ক্রুজ হল লেভেল ২ প্রযুক্তি যেখানে গাড়ি স্টিয়ারিংয়ে হাত না থাকলেও চালককে সজাগ থাকতে হয়।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর