বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

গাড়ি থামিয়ে এসি চালানো কি ঠিক?

অটোমোবাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ জুন ২০২৩, ১০:২০ এএম

শেয়ার করুন:

গাড়ি থামিয়ে এসি চালানো কি ঠিক?

গাড়ির ইঞ্জিন স্টার্ট রেখে এয়ার কন্ডিশনিং ব্যবহার করলে বড় সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারেন। অনেকের মধ্যেই এই অভ্যাস রয়েছে। সাময়িক সময়ের জন্য সারা শরীরে কুলিং খেলে গেলেও ওই কিছুক্ষণের জন্য যে পরিমাণ তেল পুড়বে তা জানলে আপনার চোখ কপালে উঠবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গাড়ির ইঞ্জিন চালু রেখে এসি চালালে তা জ্বালানির অপচয় করা। এতে গাড়ির ইঞ্জিনের দীর্ঘায়ু প্রভাবিত হতে পারে। গাড়ির ইঞ্জিনের কুলিং সিস্টেম যদি ঠিকঠাক থাকে এবং ভালো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় ও পর্যাপ্ত জ্বালানি থাকে তাহলে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিশ্চিন্তে এসি চালাতে পারেন।


বিজ্ঞাপন


তবে গাড়ির ইঞ্জিন যদি বন্ধ থাকে কিংবা জ্বালানির পরিমাণ যদি কম হয় তাহলে বড় মুশকিলে পড়তে হতে পারে। তাছাড়া ইঞ্জিন বন্ধ রেখেও এসি চালাতে পারবেন না। কারণ এসির কম্প্রেসর কাজ করবে ইঞ্জিনের উপর নির্ভর করেই।

car acইঞ্জিন যতক্ষণ চলে ততক্ষণ অল্টারনেটর ব্যাটারিকে চার্জ রাখে। ফলে পাওয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। কিন্তু প্রশ্ন হল গাড়ি মাঝপথে থামিয়ে বা পার্ক করে ইঞ্জিন চালু থাকায় অবস্থায় ইঞ্জিন চালালে কী হতে পারে?

এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করবে উক্ত গাড়িটি কী ধরনের। বর্তমানে বহু গাড়িতে অটোমেটিক ক্লাইমেট কন্ট্রোল ফিচার পাওয়া যায় যেখানে বিভিন্ন সেন্সর থাকে যা ইঞ্জিনের উপর চাপ সৃষ্টি না করে ফ্যান স্পিড নিয়ন্ত্রণে রাখে।

অটোমেটিক ক্লাইমেট কন্ট্রোল ফিচার যুক্ত গাড়িতে ইঞ্জিন চালু থাকা অবস্থায় সর্বাধিক ২ ঘণ্টা পর্যন্ত গাড়ি পার্ক করে এসি ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমানে বহু গাড়িতে ইঞ্জিন স্টার্ট-স্টপের সুবিধা মোবাইল বা নির্দিষ্ট নব থেকেই করা যায়।


বিজ্ঞাপন


car ac bdঅপরদিকে পুরনো গাড়ি যেখানে কোনো সেন্সর থাকে না সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট গাড়ি পার্ক করে এসি ব্যবহার করতে পারেন। এর বেশি ব্যবহার করলে ইঞ্জিনের উপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয় এবং ধীরে ধীরে গরম হতে শুরু করে ইঞ্জিন।

গাড়ি থামিয়ে এসি চালালে কি ক্ষতি হয়?

একটি বিষয় স্পষ্ট যে গাড়ি থামিয়ে এসির হাওয়া খেলে তা ব্যাপক পরিমাণে তেল খরচ বাড়িয়ে দেবে। পাশাপাশি এর ফলে ইঞ্জিনও অত্যধিক গরম হয়ে যেতে পারে। ইঞ্জিন খারাপ হয়ে যেতে পারে কিছুদিনের মধ্যে। কারণ এই সময় কম্প্রেসর থেকে ইঞ্জিনের উপর চাপ তৈরি হয়। যার ফলে ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা বেড়ে যায়।

শুধু তাই নয়, গাড়ির ইঞ্জিন চালু অথচ সেই গাড়ি ছুটছে না। এমতাবস্থায় গাড়ির মাইলেজও অনেকটাই কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, ইঞ্জিনের পাশাপাশি এই সময় ব্যাটারি খরচ দ্রুত হারে বাড়তে শুরু করে। তাই এই অভ্যাস যত তাড়াতাড়ি ত্যাগ করবেন ততই মঙ্গল।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর