মোটরসাইকেল এবং স্কুটার সিএনজিতে রূপান্তর সম্ভব? এমন প্রশ্ন অনেকেরই মনে। মোটরসাইকেল চলে পেট্রোল ও অকটেনে। এই দুই জ্বালানি তেলের দাম সবচেয়ে বেশি। তাই অনেকেই তার প্রিয় ইঞ্জিনচালিত দ্বিচক্রযানকে সিএনজিতে রূপান্তর করবেন বলে ঠিক করেছেন। কেননা, পেট্রোল ইঞ্জিনের তুলনায় সিএনজিচালিত ইঞ্জিনের খরচ কম।
পেট্রোলচালিত মোটরসাইকেল সিএনজিতে রূপান্তর করা সম্ভব। এজন্য নির্দিষ্ট সিএনজি কিটের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে কোনও প্রতিষ্ঠানই সিএনজিচালিত মোটরসাইকেল বা স্কুটার বিক্রি করে না। তবে প্রতিবেশি দেশ ভারতের অনেকেই তাদের বাইক ও স্কুটারে কিট সংযোজন করে সিএনজিতে রূপান্তর করে নিচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
ভারতের দিল্লির লোভাতে নামে একটি প্রতিষ্ঠান স্কুটারের জন্য সিএনজি কিট উৎপাদন করে বিক্রি করছে। এই কিটের দাম মাত্র ১৮ হাজার রুপি। এই কিট স্কুটারে ইনস্টল করলে পেট্রোলের পাশাপাশি সিএনজিতেও চালাতে পারবেন। অর্থাৎ তেল এবং গ্যাস দুইভাবেই বাইক ও স্কুটার চালানো যাবে।
প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে এই সিএনজি কনভার্সন কিট হোন্ডা অ্যাকটিভা, টিভিএস জুপিটার, হিরো মেইস্ত্রো মডেলে দারুণ পারফরমেন্স দেয়। অন্যান্য মডেলের স্কুটারেও এই কিট কার্যকর।
এই কিট একটি স্কুটারে সংযোজন করতে মাত্র ৪ ঘণ্টা সময় লাগে। কনভার্সন হওয়ার পর স্কুটারে একটি সুইচ লাগিয়ে দেয় সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান। যার সুবিধা হল চালক চাইলে পেট্রল থেকে সুইচ করে সিএনজি মোডে চালাতে পারবে।
স্কুটারের সামনে দুইটি সিএনজি কিট ইনস্টল করা হয় যা কালো রঙের প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকা থাকে। এর মেশিন কাজ করে সিটের নিচের অংশ থেকে। সিএনজি কিটের ওজন ১.২ কেজি।
বিজ্ঞাপন
তবে সিএনজি কিট বসানোর যেমন সুবিধা রয়েছে তেমন কিছু অসুবিধাও রয়েছে। শহরের বাইরে সিএনজি স্টেশন সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না। এছাড়া মাইলেজ বাড়লেও স্কুটারে পিকআপ দিতে পারবে না।
উঁচু রাস্তায় চালানোর জন্য স্কুটারের ইঞ্জিনের উপর চাপ পড়বে। তবে এই পরিষেবার খরচ শহর ও সংস্থা অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে।
এজেড