শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

রজনীকান্তের গাড়ির কালেকশন জানলে অবাক হবেন

অটোমোবাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২৩, ০৮:১০ এএম

শেয়ার করুন:

রজনীকান্তের গাড়ির কালেকশন জানলে অবাক হবেন

রজনীকান্ত তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বাস কন্ডাক্টর হিসেবে। কিন্তু বেশিদিন বাসে ঘুরতে হয়নি। পা রাখেন চলচ্চিত্রে। অভিনয়ের শুরু থেকেই জনপ্রিয় তিনি।

প্রায় তিন দশক ধরে ভক্তদের মাতিয়ে রেখেছেন থালাইভাখ্যাত রজনীকান্ত। একের পর এক সুপার হিট সিনেমা। বয়সের ধার কমে গেলেও এখনো অনেক সিনেমাতেই দেখা যায় তাকে।


বিজ্ঞাপন


carসুপারস্টার রজনীকান্তের পরিচিতি বিশ্বজুড়ে হলেও খুবই সাধারণ এবং নম্র থাকেন ভক্তদের সঙ্গে। কিন্তু গাড়ি কালেকশনের প্রসঙ্গ উঠলে থালাইভার ক্যারিশমা দেখার মতো। আইকনিক হিন্দুস্তান অ্যাম্বাসাডার থেকে বিলাসবহুল রোলস রয়েস তার কালেকশনে রয়েছে চোখ ধাঁধানো সব গাড়ি।

প্রিমিয়ার প্যাডমিনি

১৯৭০-৮০ এর দশকে কোনো মার্সিডিজ বা বিএমডাব্লিউ নয় এই গাড়িই ছিল তখন ভারত মহাদেশে সবচেয়ে দামি এবং ঝাঁ চকচকে গাড়ি। যা কেনার জন্য লাইন লাগাতেন বড় বড় তারকা এবং শিল্পপতিরা। যদি ফিয়াট আসার পর এই গাড়ির বাজার বেশ পড়ে যায়। রজনীকান্তের গাড়ি কালেকশনে রয়েছে একটি সাদা রঙের প্রিমিয়ার প্যাডমিনি। 

carহিন্দুস্তান অ্যাম্বাসেডর


বিজ্ঞাপন


​হিন্দুস্তান মোটর তৈরি করত এই গাড়ি। অ্যাম্বাসেডরের এর জনপ্রিয়তা আর নতুন করে বলার দরকার নেই। এই গাড়ি অনেকেই সড়কে চলতে দেখেছেন। এখনও কলকাতার রাস্তায় এই গাড়ি দেখা যায়। যাবে হলুদ ট্যাক্সি নামেই চেনেন শহরবাসী।  তবে এক সময় ভারতের কাশ্মির থেকে কন্যাকুমারী গাড়ি বলতে অ্যাম্বাসেডরকেই কেই বুঝত সাধারণ মানুষ। যদিও সময়ের অন্তরালে এই গাড়ি এখন মিউজিয়ামে। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে এই গাড়ি কিনেছিলেন রজনীকান্ত।

carবিএমডব্লিউ এক্স ৫ 

এটি একটি বিলাসবহুল এসইউভি। এই গাড়ির ২০১৭ ভার্সন রয়েছে থালাইভার কাছে। গাড়িতে ৩ লিটার ইঞ্জিন রয়েছে। ফিচার্স হিসেবে আছে সানরুফ, ৮ স্পিড অটোমেটিক গিয়ার, ১২.৩ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, ১০ স্পিকার, ছয়টি এয়ারব্যাগ ইত্যাদি। এই গাড়ির সিকিউরিটি ভেরিয়েন্টও রয়েছে যা সম্পূর্ণ বুলেটপ্রুফ।

মার্সিডিজ জি ক্লাশ

দারুণ স্টাইলিশ লুকিং এসইউভি মার্সিডিজ বেঞ্জ ৭এস ওয়াগন। এই গাড়ি ৩ রকম ইঞ্জিনের সঙ্গে পাওয়া যায় এই গাড়ি। সঙ্গে রয়েছে ছয়টি সিলিন্ডার। এই গাড়ির সর্বোচ্চ গতি ১৯৯ কি.মি. প্রতি ঘণ্টা। ০ থেকে ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতি ছুঁতে গাড়িটি সময় নেয় কেবল ৪.৫ সেকেন্ড। ভারতবর্ষে এই গাড়ির দাম ১.৭২ থেকে ২.৪৫ কোটি রুপি। রজনীকান্তের কালেকশনে থাকা অন্যতম বিলাসবহুল গাড়ি মার্সিডিজ জি ক্লাশ।

carরোলস রয়েস 

সুপারস্টার রজনীকান্তের কাছে রোলস রয়েসের দুইটি গাড়ি রয়েছে। এগুলো হলো রোলস রয়েস ফ্যান্টম এবং রোলস রয়েস ঘোস্ট। এই দুইটি গাড়ি ভারতের বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি গাড়িগুলোর মধ্যে পড়ে। রোলস রয়েস গাড়ির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এই গাড়ির ডিজাইন। অনেক সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম জিনিসে অপূর্ব কারুকার্য করে থাকে রোলস রয়েস।

carবেন্টলি লিমুজিন 

এই বিলাসবহুল গাড়ির কাস্টমাইজড ভার্সন রজনীকান্তের কাছে। যার মূল্য প্রায় ২২ কোটি রুপি। ২১ ফুট লম্বা গাড়িটি। ৯ জন আসন রয়েছে গাড়িটিতে। এই গাড়ি ভারতে খুব একটা দেখা যায় না। কারণ ভিড় ট্রাফিক এবং অনুর্বর রাস্তার কারণে গাড়ির সৌন্দর্য ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অনেকেই স্ট্যাটাস সিম্বল হিসাবে এই গাড়ি কিনে সংগ্রহে রাখেন।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর