যারা মোটরসাইকেল চালান তাদের সুরক্ষার জন্য সবার আগে প্রয়োজন হেলমেট। হেলমেট কেনার সময় এর সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি। প্রশ্ন থেকেই যায় ভালো হেলমেট চেনার উপায় কী? হেলমেট কেনার সময় কী কী বিষয় দেখবেন?
বাইক কিংবা স্কুটার কেনার সময় যেমন একাধিক মাপকাঠি মেনে চলতে হয়। ঠিক তেমনই হেলমেট কেনার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।
বিজ্ঞাপন
৯৯ শতাংশ দুর্ঘটনায় চালক বা বাইক আরোহীদের মাথায় হেলমেট থাকে না। হেলমেট থাকলেও লুজ ফিট এবং দুর্বল মান হওয়ার কারণে এই সমস্ত দুর্ঘটনা ঘটে। তাই হেলমেট কেনার সময় তার সেফটি, মেটিরিয়াল কোয়ালিটি সংক্রান্ত কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা উচিত।
কী ধরনের হেলমেট কিনবেন?
কার্বন এবং কেভলার মিশ্রণের হেলমেট কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এই হেলমেটগুলো ওজনে হালকা হয় এবং ঘাড় ও মাংসপেশি সুরক্ষিত রাখে।
হেলমেটের লাইফসাইকেল নিয়ে আপস করবেন না। অভিজ্ঞ বাইকারদের পরামর্শ মাটিতে পড়ার ফলে হেলমেটে যদি কোন স্ক্রাচ আসে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে ওই হেলমেট বদলে ফেলা উচিত। ভালো মানের হেলমেট আপনি ৩ বছর ব্যবহার করতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন
কত দামী হেলমেট কিনবেন?
হেলমেট নিয়ে এত পরামর্শ দেওয়া হলেও দামের বিষয়টি চালকদের। আর যে কারণেই অনেকেই হেলমেটের বিল্ড কোয়ালিটি না দেখেই সস্তায় নিয়মরক্ষা করার জন্য একটি হেলমেট কিনে নিয়ে আসেন।
বর্তমানে বাজারে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা দামি হেলমেটও পাওয়া যায়। কিন্তু এর মধ্যে আপনার বাছাই করা হেলমেটটি আন্তর্জাতিক মাপকাঠি মানছে কিনা তা যাচাই করুন।
ডিজাইনের ক্ষেত্রেও অজস্র বিকল্প রয়েছে যেমন - সম্পূর্ণ মুখ ঢাকা, অর্ধেক মুখ ঢাকা, অব-রোড হেলমেট, টু পিস ইত্যাদি। কিন্তু এসবের সম্পূর্ণ মুখ ঢাকা হেলমেট কেনাই উচিত বলে মনে করেন দুর্ঘটনা বিশেষজ্ঞরা।
আইএসও লোগো
হেলমেটে আইএসও লোগো রয়েছে কিনা যাচাই করুন, কারণ এই ধরণের হেলমেটগুলি নির্দিষ্টি প্রটোকল মেনে তৈরি করা হয়, বর্তমানে অধিকাংশ হেলমেট ফাইবার গ্লাস দিয়ে তৈরি হয়। তবে কেউ যদি বেশি সুরক্ষা চান এবং এবং একটু বেশি টাকা খরচ করতে রাজি থাকেন তাহলে কার্বন-কেভলার মিশ্রিত মেটিরিয়াল দিয়ে তৈরি হেলমেট কিনতে পারেন।
ডট সার্টিফায়েড হেলমেট কিনুন
হেলমেট কেনার সময় হেলমেটটি ডট সার্টিফায়েড কি না তা দেখে কিনুন। ডট সার্টিফায়েড হেলমেটের সুরক্ষায় ব্যবস্থা ভালো থাকে।
এছাড় ওই হেলমেট আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে কিনা সেটিও পরীক্ষা করুন। নিশ্চিত করুন যাতে সেই হেলমেট ওজনে হালকা হয়। রাইড করার সময় অতিরিক্ত বোঝা যেন অনুভব না করতে হয়।
এজেড

