ল্যান্ড রোভারের অফ রোড কার ডিফেন্ডার ১৩০ মডেল। একে দানবীয় গাড়ি বললেও ভুল হয় না। কেননা, এটি কালো রঙের প্রকাণ্ড চেহারার এই। গাড়িতে রয়েছে ৫ লিটার ইঞ্জিন।
সম্প্রতি ভারতের বাজারে নতুন ডিফেন্ডার ১৩০ আউটবাউন্ড এডিশন গাড়ি এলো। ল্যান্ড রোভার টাটা মোটরসের মালিকাধীন।
বিজ্ঞাপন
৫ আসনের এই গাড়িতে একগুচ্ছ নতুন বৈশিষ্ট্য যোগ করেছে ল্যান্ড রোভার। চেহারার দিক দিয়ে গাড়ি যেমন মজবুত তেমনই শক্তিশালী গাড়ির ইঞ্জিন।
নতুন ল্যান্ড রোভার ডিফেন্ডারে রয়েছে ভি৮ ৫ লিটার সুপারচার্জড ইঞ্জিন। যা ৫০০ হর্সপাওয়ার শক্তি তৈরি করতে পারে। অতিকায় হওয়া সত্ত্বেও এই গাড়ি ০ থেকে ১০০ কি.মি. গতি স্পর্শ করতে সময় নেয় মাত্র ৫.৪ সেকেন্ড। গাড়ির ইঞ্জিনে রয়েছে ৬টি সিলিন্ডার যা এই দানবীয় শক্তি উত্পন্ন করতে সাহায্য করে।
এই ভি৮ ইঞ্জিন প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল ১৯৯৭ সালের জাগুয়ার এক্সজে৮ এবং এক্সকে৮ মডেলের গাড়িতে। তখন ব্যবহার হতো ৪ লিটারের ইঞ্জিন।
শক্তিশালী ইঞ্জিন ছাড়াও এই গাড়িতে বিশেষ চমক বাইস্পোক ব্যাজ এবং কালো রঙের পেইন্ট। এছাড়া রয়েছে ২২ ইঞ্চির ডার্ক গ্রে রঙের চাকা, গরম এবং ঠান্ডা দুই বজায় রাখবে এমন প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি গাড়ির আসন। রয়েছে ফোর জন ক্লাইমেট কন্ট্রোল, মেরিডিয়ান সাউন্ড সিস্টেম এবং হেড আপ ডিসপ্লে।
বিজ্ঞাপন
ল্যান্ড রোভার ডিফেন্ডার ১৩০ গাড়ির বুট স্পেস ১৩২৯ লিটার। যা মাঝখানের আসনগুলো ভাঁজ করলে বেড়ে দাঁড়াবে ২৫১৬ লিটার। আক্ষরিক অর্থে এই গাড়ি দানব। এই কথা বলছি শক্তিশালী ইঞ্জিন কিংবা মজবুত ইঞ্জিনের জন্য নয়। সংস্থার দাবি, নতুন ডিফেন্ডার গাড়িতে আঁচড় লাগবেনা, অর্থাৎ গাড়িটি সম্পূর্ণ স্ক্র্যাচ প্রুফ।
গাড়ির ভেতরে রয়েছে দুই ধরনের কেবিন - এক সম্পূর্ণ চামড়া দিয়ে মোড়া আরেক টেকসই ফ্যাব্রিক। গাড়িতে মজুত রয়েছে ৪X৪ ব্যবস্থার সঙ্গে টেরেন রেসপন্স সিস্টেম।
পাহাড়, জঙ্গল, মরুভূমি যেকোনো রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াতে পারে এই গাড়ি। বাতাসের ভারসাম্য যাতে বজায় থাকে তার জন্য গাড়িতে রয়েছে ইলেকট্রনিক এয়ার সাসপেনশন সিস্টেম।
এজেড