মোটরসাইকেলের সামনের ও পেছনের চাকায় ব্রেক থাকে। অনেকেই শুধু সামনের ব্রেক ব্যবহার করেন। কেউবা পেছনের ব্রেক। যারা অভিজ্ঞ তারা দুই ব্রেকই সমান তালে ধরেন। জানুন মোটরসাইকেলের সামনের না পেছনের ব্রেক ব্যবহার করা ভালো।
প্রত্যেক মোটরসাইকেলে দুইটি করে ব্রেক দেওয়া হয়। এই ব্রেকগুলোর কাজ থাকে আলাদা। কিন্তু সিংহভাগ মানুষ বাইক থামানোর জন্য রিয়ার ব্রেক বেশি ব্যবহার করে। এমনকি বহু মানুষ আছেন যারা ফ্রন্ট ব্রেকে হাত না লাগানোর পরামর্শ দিয়ে থাকে। তাহলে কোম্পানিগুলো ফ্রন্ট ব্রেক এমনই দেয়? স্বাভাবিক ভাবেই এই প্রশ্ন ওঠার কথা।
বিজ্ঞাপন
অনেকেই জানেন না, ফ্রন্ট ব্রেক রিয়ার ব্রেকের থেকে অনেক বেশি কার্যকর। পেছনে যে ব্রেকিং সিস্টেম থাকে তার থেকে ৯০ শতাংশ বেশি ব্রেকিং শক্তি তৈরি করে ফ্রন্ট ব্রেক। রেসিং বাইকগুলোর ক্ষেত্রে এই শক্তি আরও অনেক বেশি থাকে ফ্রন্ট ব্রেকে। কিন্তু তবুও বহু বাইকারদের মধ্যে রিয়ার ব্রেক ব্যবহার করার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
ফ্রন্ট ব্রেক ব্যবহার হয় না কেন?
বাইকের ফ্রন্ট ব্রেক ব্যবহার না করার কারণ হল, যখন কোনো মোটরসাইকেল উচ্চ গতিতে চলে তখন ফ্রন্ট ব্রেক কষার ফলে বাইকটি উল্টে যেতে পারে। নতুন বাইক চালানো শেখার সময় প্রশিক্ষকরা ফ্রন্ট ব্রেক ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন। কিন্তু এই উপদেশ অনেকে আজীবন মেনে চলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, জোর করে সবসময় রিয়ার ব্রেক ব্যবহার করা উচিত নয়।
অনেকের মতে, মোটরসাইকেল যদি রাস্তায় সোজা না হয়ে ডান দিকে বা বাঁ দিকে ঝুঁকে চলে তাহলে ফ্রন্ট ব্রেক ব্যবহার করা বিপজ্জনক হতে পারে। রাস্তায় স্কিড খেতে পারে চাকা।
বিজ্ঞাপন
পাশাপাশি কেউ যদি দ্রুত গতিতে বাইক চালানোর সময় রিয়ার ব্রেক না কষে ফ্রন্ট ব্রেক কষেণ তাহলে পেছন চাকা উপরে উঠে যেতে পারে। এতে বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারেন আপনি। তাই বহু পেশাদার বাইকাররা স্টপি বা স্টান্ট করার সময় এই নিয়ম অনুসরণ করেন।
বাইকের ব্রেক ধরার সঠিক নিয়ম
কোনো বাইক চালক ব্রেক কষে তখন তার ও বাইকের ওজন সামনে চলে আসে। বলা হয় এই সময় বাইকের ফ্রন্টে প্রায় ৭০ শতাংশ ওজন থাকে। এইঅবস্থায়, ফ্রন্ট ব্রেক এড়িয়ে চলা উচিত নয়। এমনকি শুধু ফ্রন্ট ব্রেক ব্যবহার করাও বোকামির কাজ হবে। আবার শুধু রিয়ার ব্রেক ব্যবহার করলে চাকা স্কিড খেতে পারে। তাই নিরাপদ ব্রেকিংয়ের জন্য দুইটি ব্রেকই ব্যবহার করুন।
খেয়াল রাখবেন, এই সময় রিয়ার ব্রেক খুব জোরে কষবেণ না, তাহলে চাকা জ্যাম হতে পারে। রিয়ার ব্রেক চাপার ৩ সেকেন্ড বাদ যখন গতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে তখন আলতো করে ফ্রন্ট ব্রেক চাপুন। তারপর ধীরে ধীরে ব্রেকের উপর থেকে হাত সরান। এইভাবে দুর্ঘটনা যেমন এড়িয়ে যাবেন তেমনই বাইকের চাকাও জ্যাম হবে না।
এজেড