বাংলাদেশের গাড়ির বাজার ক্রমশ বাড়ছে। নামি দামি গাড়ি এসে ভিড় করছে এই দেশে। প্রতিদিন শত শত ক্রেতার হাতে গাড়ির চাবি তুলে দিচ্ছে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। আর গাড়ি বাজার বড় হওয়া মানে বিকল্প বৃদ্ধি পাওয়া। মধ্যবিত্ত গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে বাজারে একাধিক গাড়ি নামিয়েছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে বহু ভারতীয় ও জাপানি সংস্থার তৈরি গাড়িও রয়েছে।
বাংলাদেশে বিক্রি হয় টাটা মোটরস এবং মারুতি সুজুকির সবচেয়ে সস্তা গাড়ি টাটা ন্যানো এবং মারুতি অল্টো। এগুলো ছাড়াও রয়েছে মারুতি সুইফট, টয়োটা ভিটস, এবং রেনল্ট কুইডের মতো আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হওয়া গাড়িও।
বিজ্ঞাপন
এই প্রত্যেকটি গাড়ি দীর্ঘদিন ধরে চালাতে পারবেন। ভালো মাইলেজ এবং কমফোর্ট পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনে গাড়িগুলির দাম সহ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।
টাটা ইন্ডিগো ইসিএস
বাংলাদেশে সস্তা গাড়িগুলোর মধ্যে একটি টাটা ইন্ডিগো ইসিএস। এটি একটি ৫ আসনের গাড়ি। রয়েছে ১৪০৫ সিসির ডিজেল ইঞ্জিন সঙ্গে পাওয়া যায় ৫ স্পিড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন। এই ইঞ্জিন সর্বোচ্চ ৬৪.১ ব্রেক হর্সপাওয়ার তৈরি করে। গাড়িটি সেডান ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে। ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি পাওয়া যায় ৪২ লিটার। ভারতে এই গাড়িটি অনেকদিন আগেই বন্ধ করে দিয়েছে টাটা। তবে বাংলাদেশে গাড়িটি বিক্রি হয়।
টাটা ন্যানো
বিজ্ঞাপন
টাটা ন্যানো একসময় ভারতের সবচেয়ে সস্তা গাড়ি ছিল। তবে এটি বর্তমানে বন্ধ। কিন্তু বাংলাদেশে এই গাড়ি বিক্রি হয় এবং বেশ জনপ্রিয়। এতে মিলবে ৬২৪ সিসি পেট্রোল ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি। সঙ্গে ৪ স্পিড ম্যানুয়াল গিয়ারবক্স। ৪ জন যাত্রী অনায়াসে চাপতে পারবে এই গাড়ি। টাটা ন্যানো চওড়ায় ১৭৫০ মিলিমিটার এবং উচ্চতা ১৬৫২ মিলিমিটার। গাড়িটির কার্ব ওয়েট ৬৯৫ কেজি। টাটা ন্যানো অত্যন্ত সস্তা চার চাকা বাংলাদেশের।
টাটা পাঞ্চ
পাঁচ তারা সুরক্ষা যুক্ত গাড়ি টাটা পাঞ্চ। কম দামি গাড়ির মধ্যে এটি একটি ভালো বিকল্প। এতে পাওয়া যায় ১.২ লিটার ইঞ্জিন যা সর্বোচ্চ ৮৪ ব্রেক হর্সপাওয়ার তৈরি করে। গাড়িটির বডি টাইপ কম্প্যাক্ট এস ইউভি-এর তালিকায় পড়ে। ৫ স্পিড ম্যানুয়াল গিয়ারবক্স রয়েছে টাটা পাঞ্চে। প্রায় ১৮.৯৭ কিলোমিটার মাইলেজ দেয় গাড়িটি।
মারুতি সুইফট
সস্তায় ভালো ডিজাইনের গাড়ি কিনতে হলে আরও একটি ভালো বিকল্প হতে পারে মারুতি সুইফট। মাইলেজের ক্ষেত্রে এই গাড়ির বেশ নামডাক রয়েছে। ১.২ লিটার পেট্রোল ইঞ্জিন পাওয়া যায় এই চার চাকায়। বুট স্পেস রয়েছে ২৬৫ লিটার এবং ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি ৩৭ লিটার।
মারুতি অল্টো
মারুতি সুজুকির আরেক সস্তা চার চাকা অল্টো এলএক্সআই ৮০০। এই গাড়িতে সস্তায় দমদার মাইলেজ পাওয়া যায়। ইঞ্জিন রয়েছে ৭৯৬ সিসি। পেট্রোল ছাড়াও সিএনজি বিকল্পেও বিক্রি হয় অল্টো। রয়েছে ম্যানুয়াল গিয়ারবক্স। বাংলাদেশের বাজারে মধ্যবিত্ত গ্রাহকদের জন্য আদর্শ চার চাকা মারুতি অল্টো। কারণ এটির দাম রয়েছে ৮ থেকে ১৫ লাখ টাকা।
টয়োটা ভিটস
জাপানি সংস্থা দ্বারা তৈরি চার চাকা টয়োটা ভিটস। এতে ১.৫ লিটার অকটেন ইঞ্জিন পাওয়া যায়। গাড়িটি সেডান এবং হাইব্রিড। কার্ব ওয়েট ১১১০ কেজি। এটির একাধিক ভেরিয়েন্ট বিক্রি হয় আন্তর্জাতিক বাজারে। ৪৪১ লিটার বুট স্পেস পাওয়া যায় এই গাড়িতে। যারা একটু উন্নত মানের প্রিমিয়াম কোয়ালিটি গাড়ির সন্ধানে রয়েছেন তাদের কাছে এটি ভালো বিকল্প।
রেনল্ট কুইড
ফ্রান্সের গাড়ি রেনল্ট। এই প্রতিষ্ঠানের একটি জনপ্রিয় চার চাকা কুইড। হ্যাচব্যাক তালিকায় পড়ে এই মডেল। রয়েছে ১ লিটার পেট্রল ইঞ্জিন। যা প্রায় ২৪ কিলোমিটার মাইলেজ দেয়। গাড়ির আসন সংখ্যা ৫। রয়েছে ডিস্ক ও ড্রাম ব্রেক।
এজেড