মোটরসাইকেলের তুলনায় প্রাইভেট কারের মাইলেজ অনেক কম। এক লিটার পেট্রোলে মোটরবাইক চলে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। অন্যদিকে ১৫০০ থেকে ২০০০ সিসির একটি প্রাইভেট কার এক লিটার প্রেট্রোলে যায় ১০ কিলোমিটার। তাই প্রাইভেট কারের মাইলেজ নিয়ে চিন্তায় থাকেন এর মালিক। তবে কিছু কৌশল মেনে চললে মাইলেজ বাড়ানো যায়।
প্রাইভেট কারের মাইলেজ বাড়ানোর উপায় জানিয়েছে পেট্রলিয়াম কনজারভেশন রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন। কোন উপায়ে জ্বালানি খরচ কমিয়ে মাইলেজ বাড়ানো যায়, জানুন বিস্তারিত।
বিজ্ঞাপন
যদি কোনও ব্যক্তি ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালান, তবে আপনার গাড়িটি প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি মাইলেজ পাবে। এতে জ্বালানির খরচ কমবে।
সিগন্যালে বা যেখানে আপনি ২০ সেকেন্ডের বেশি থামবেন সেখানে গাড়িটি বন্ধ করে দিতে পারেন। এতে জ্বালানির খরচ কমে যায়। পাশাপাশি গাড়ির মাইলেজও বৃদ্ধি পায়।

বলা হয়, কোনও ব্যক্তি যদি ভুল গিয়ারে গাড়ি চালান, তবে আপনি ১০ শতাংশ পর্যন্ত জ্বালানি বেশি অপচয় করতে পারেন। তাই রাস্তা বিবেচনা করে, সঠিক গিয়ারে গাড়ি চালিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে পারেন।
বিজ্ঞাপন
সাবধানে গাড়ির গিয়ার পরিবর্তন করা প্রয়োজন। প্রয়োজন অনুযায়ী গিয়ার পরিবর্তন করতে পারেন। গাড়ি চালানোর সময় গতি একই রাখার চেষ্টা করুন। গাড়ি খুব জোরে চালানো উচিত না।
হঠাৎ করে ব্রেক চাপা বন্ধ করে দিন। হঠাৎ ব্রেক করলে ইঞ্জিনের শক্তির পাশাপাশি জ্বালানিও নষ্ট হয়। একটি রিপোর্ট অনুসারে, আপনি যদি ৬০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালান তবে আপনি জ্বালানি ব্যবহার না করে ৬৫০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারেন। তবে ৪০ কিমি গতিবেগেই গাড়ি চালানো উচিত।
গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানির সুপারিশ করা নির্ধারিত টায়ারের মধ্যে একই পরিমাণ বাতাস রাখুন। টায়ার প্রেশার ২৫% কম হলে জ্বালানি খরচ ৫-১০% বৃদ্ধি হতে পারে।
উপরের টিপসগুলো মেনে চললে গাড়ির জ্বালানির খরচ কমতে পারে। যা মাসের শেষে আপনাকে অনেকটাই সুবিধা দেবে।
এজেড

