গাড়ি থাকার সুবিধা যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে অসুবিধাও। এর একটি প্রধান সমস্যা জ্বালানি খরচ। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে বেড়েই চলেছে জ্বালানির দাম। এমন পরিস্থিতিতে যদি জ্বালানির অপচয় হয় তাহলে খরচ বেড়ে যায় বহুগুণে। বিশেষ করে রাস্তায় যানজটে পড়লে জ্বালানির অপচয় হয়।
এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইঞ্জিন চালু থাকা অবস্থায় একটি গাড়ি প্রতি ঘণ্টায় ০.৮ লিটার তেল খরচ করে। শহরের এলাকায় এই খরচ ১৭৫ শতাংশ বেড়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
আইআইটি দিল্লির এক জরিপে দেখা যায়, যেসব গাড়ি ভ্রমণের ২৪ শতাংশ সময় ঘণ্টায় ৪ কিমি এর কম গতিতে চলে সেইসব গাড়িতে শুধু তেল খরচই নয়, বৃদ্ধি পায় বায়ু দূষণের মাত্রাও।
চলুন জেনে নিই যানজটের সময় গাড়ির জ্বালানি খরচ বাঁচানোর উপায়গুলো।
ইঞ্জিন বন্ধ করে দিন
যানজটে ট্রাফিক সিগন্যালের সময় বুঝে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ রাখুন। এতে যে তেল সঞ্চয় হবে তা ইঞ্জিন পুনরায় চালু করার সময় তেল খরচের থেকে বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, যানজটে অন্তত ৩০ সেকেন্ড ইঞ্জিন বন্ধ রাখা উচিত। তবে প্রতিটি ট্রাফিক সিগন্যালে ইঞ্জিন বন্ধ রাখতে হবে না।
বিজ্ঞাপন
ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার সীমিত রাখুন
ব্যাটারি খরচ বাড়ায় এমন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যেমন— জিপিএস, এয়ার কন্ডিশনার ইত্যাদির ব্যবহার কম করতে হবে।
এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার রাখুন
গাড়ির এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার থাকলে তা তেল সঞ্চয় করতে সাহায্য করে। এই ফিল্টার যদি অপরিচ্ছন্ন থাকে তাহলে বাতাসের প্রবাহ কমে যায়। ফলে জ্বালানি দ্রুত শেষ হয়।
গাড়ির ওজন কম রাখতে হবে
গাড়ির সার্বিক ওজন যত কম রাখতে হবে। এতে ইঞ্জিনে চাপ কম পড়বে। একই ইঞ্জিন দ্বারা চালিত একটি ভারী গাড়ির থেকে একটি হালকা গাড়ির যানজটে পড়লেও অনেক কম তেল খরচ করে।
টায়ার প্রেসার
টায়ার প্রেসার কম থাকলে সরাসরি গাড়ির ইঞ্জিনে চাপ পড়ে। গাড়ি ঠিকমত চলতে না পারলে অতিরিক্ত তেল খরচ হয়। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, টায়ার প্রেসার বেশি রাখতে হবে।
গাড়ির পরীক্ষা-নিরীক্ষা
নির্দিষ্ট সময় পরপর গাড়ির সব যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করা উচিৎ। গাড়ির সব যন্ত্রাংশ ঠিক মতো কাজ করছে কিনা তা যাচাই করে নেওয়া দরকার। কোনো অংশে যান্ত্রিক ত্রুটি থাকলে শুধু তেল খরচই নয়, দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
এমএইচটি

