রতন টাটা ভারতের অন্যতম ধনকুবের। দেশটির গাড়ি শিল্পের জগতে পুরোধা তিনি। সাধ্যের মধ্যে সবার জন্য টাটা গাড়ি এনে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। ন্যানো নামের ছোট আকারের ওই গাড়ি লাখ খানেক রুপিতেই ভারতে পাওয়া যেত। বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা জাগুয়ার ও ল্যান্ড রোভারের মালিকানাও টাটা মোটরসের কাছেই।
রতন টাটার গ্যারেজে মার্সিডিজ, ফেরারির মতো বিলাসবহুল গাড়ি থাকলেও তিনি চড়েন টাটা মোটরসের বিভিন্ন মডেলের গাড়িতে।
বিজ্ঞাপন
টাটা ন্যানো থেকে টাটা নিক্সন কী নেই তার গ্যারেজে? রয়েছে ফেরারি, জাগুয়ার, মার্সিডিজ, ল্যান্ড রোভারও।
রতন টাটার গাড়ির বহর সম্পর্কে জানুন।
টাটা ন্যানো
মধ্যবিত্ত ভারতবাসীকে সস্তায় গাড়ি কেনার সুযোগ করে দিতে টাটা ন্যানো গাড়ির পরিকল্পনা করেছিলেন রতন টাটা। যদিও এই গাড়ি বাণিজ্যিক সাফল্য পায়নি। লঞ্চের প্রায় এক দশক পরে ২০১৯ সালে এই গাড়ি বিক্রি বন্ধ করেছিল টাটারা। যদিও রতন টাটার কালেকশনে রয়েছে এই গাড়ি।
বিজ্ঞাপন
টাটা নিক্সন
টাটা নিক্সন ভারতে তৈরি প্রথম গাড়ি যা ক্র্যাশ টেস্টে ৫ স্টার রেটিং পেয়েছিল। ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় এই এসইউভিতে রয়েছে রতন টাটার গ্যারাজেও। তার কাছে রয়েছে এই গাড়ির প্রথম ভার্সন।
টাটা ইন্ডিগো মেরিনা
রতন টাটার কুকুরের প্রতি প্রেম সকলের জানা। নিজের কুকুরকে সঙ্গে নিয়ে লং ড্রাইভে যাওয়ার জন্য তার গ্যারাজে রয়েছে একটি ইন্ডিগো মেরিনা। পিছনের সিট সরিয়ে পোষ্যর জন্য আরও বেশি জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
হোন্ডা সিভিক
মধ্যবিত্তের আরও একটি গাড়ি রয়েছে রতন টাটার গ্যারাজে। তাকে একাধিকবার নিজের হোন্ডা সিভিক চালাতে দেখা গেছে।
মার্সিডিজ বেঞ্জ
জার্মান গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার অন্যতম আইকনিক গাড়ি মার্সিডিস বেঞ্জ ই-ক্লাম ডব্লিউ১২৪। রতন টাটার গ্যাজারে এই গাড়ি জায়গা করে নিয়েছে। এটাই ভারতে লঞ্চ হওয়া মার্সিডিজ বেঞ্জের প্রথম যাত্রীবাগী গাড়ি।
১৯৯৫ সালে টাটা মোটরসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই গাড়ি লঞ্চ করেছিল জার্মান কোম্পানিটি।
বুইক স্কাইলার্ক
ভারতের এই গাড়ি খুব বেশি দেখা যাবে না। ১৯৭৮ সালের বুইক স্কাইলার্ক রয়েছে রতন টাটার গ্যারাজে। ক্লাসিক ডিজানে এই গাড়ি রাস্তায় আপনার নজর কাড়তে বাধ্য।
ফেরারি ক্যালিফোর্নিয়া
ফেরারি ছাড়া যে কোনও গ্যারাজ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। রতন টাটার কালেকশনে রয়েছে একটি ফেরারি ক্যালিফোর্নিয়া মডেল। একাধিকবার এই গাড়ি চালাতে দেখা গিয়েছে তাকে।
জাগুয়ার এফ-টাইপ এস
বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা জাগুয়ারের মালিকানা রয়েছে টাটা মোটরসের কাছে। অর্থাৎ নিজের কোম্পানির আরও একটি গাড়ি রয়েছে তার গ্যারাজে। জাগুয়ার এফ-টাইপ এস মডেলে রয়েছে ৫.০ লিটার সুপারচাজর্ড ভি৮ ইঞ্জিন।
মার্সিডিজ বেঞ্জ এসএল৫০০
এছাড়াও টাটার কাছে রয়েছে একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ এসএল৫০০ মডেলের গাড়ি। এই গাড়িটি বা দিকে বসে চালাতে হয়। নিজের জন্য বিদেশ থেকে এই গাড়ি আমদানি করেছিলেন রতন টাটা।
ল্যান্ড রোভার ফ্রিল্যান্ডার
টাটা মোটরস জাগুয়ার-ল্যান্ডরোভার অধিগ্রহণের আগেই এই গাড়ি কিনেছিলেন রতন টাটা। একাধিকবার তাকে এই গাড়ি চালাতে দেখা গেছে।
এজেড