মোটরসাইকেলের পাশাপাশি এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ইলেকট্রিক বাইক। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর থেকে অনেকেই ব্যাটারিচালিত ইলেকট্রিক বাইকের দিকে ঝুঁকছেন। ক্রেতাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও ইলেকট্রিক বাইন নির্মাণে মনোযোগী হচ্ছেন। এই ধরনের বাইক থেকে আপনি কোনটা কিনবেন?
জনপ্রিয়তার দিক থেকে এই উচ্চগতি সম্পন্ন ইলেকট্রিক বাজারে বেশ জনপ্রিয়। যদিও এই দুই ধরনের বৈদ্যুতিক স্কুটারের মধ্যে চোখে পড়ার মতো বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে।
পারফরম্যান্সের নিরিখে উচ্চ গতিসম্পন্ন ইলেকট্রিক বাইকের চাহিদা তুঙ্গে। শুরুতে কম গতির ইলেকট্রিক বাইক বাজারে পাওয়া যেত। এখন বেশি গতির, বেশি রেঞ্জের বাইক মেলে।
বিজ্ঞাপন
প্রযুক্তিগত কারণেই পূর্বের ই-বাইকগুলো একটা সীমিত গতির পর নিজের গতি বৃদ্ধি করতে পারত না। সেই দিক থেকে বিচার করে উচ্চগতি সম্পন্ন ই-বাইক গ্রাহকদের কাছে অনেকটাই লোভনীয় ও গ্রহণযোগ্য।
কিন্তু একটা কথা বলতেই হবে, অনেক সময় শহরের ট্রাফিক জ্যামের মধ্যেও এই লো-স্পিডের ব্যাটারিচালিত বাইকগুলো ত্রুটিহীন ভাবে সন্তোষজনক পারফরম্যান্স দিতে পারে।
জ্বালানিচালিত মোটরসাইকেলের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অনেক বেশি। সেই তুলনায় ইলেকট্রিক বাইকের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ নেই বললেই চলে। যেসব ই-বাইকের গতি ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটারের কম সেসব বাইকের রেজিস্ট্রেশন লাগেনা। এগুলো সাইকেলের পর্যায়ে পড়ে। এমনকি কম গতির ইলেকট্রিক বাইক চালাতে ড্রাইভিং লাইসেন্সও লাগে না। শুধু চালকের মাথায় নিরাপত্তার জন্য হেলমেট থাকলেই হলো।
জ্বালানি খরচ, রক্ষণাবেক্ষণ, লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন বিবেচনায় মোটরসাইকেলের তুলানায় ফিচার্স ও সুযোগ-সুবিধায় এগিয়ে আছে ব্যাটারিচালিত ইলেকট্রিক বাইক।
বিজ্ঞাপন
এজেড