দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইলেকট্রিক বাইক ও গাড়ি। ইলেকট্রিক বাহনের চালানোর খরচ কম। কিন্তু এর ব্যাটারি খুব বেশি একটাই মাইলেজ দেয় না। বেশ কিছু কারণে আপানার ইলেকট্রিক গাড়ির মাইলেজ অনেকটাই কমতে পারে। ফলে, একটি সিঙ্গেল চার্জে গাড়ি থেকে যতটা মাইলেজ আপনি পেতে পারতেন, ততটা মাইলেজ এই গাড়ি থেকে পাবেন না আপনি। আর তাই, চলুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে আপনার ইলেকট্রিক গাড়ির মাইলেজ বেশ কিছুটা বাড়াতে পারবেন আপনি।
গাড়ির মাইলেজের ক্ষেত্রে যেমন KM/L ব্যবহার করা হয়, তেমনই অন্যদিকে, ইলেকট্রিক গাড়ির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় Km/Kw।
বিজ্ঞাপন
কিলো ওয়াট আওয়ার কী?
এটি বিদ্যুতের একটি মাপ। এক ঘণ্টায় যদি ১০০০ ওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়, তাহলে এটিকে কিলোওয়াট আওয়ার বলা হয়।
অন্যদিকে, যদি আপনার একটি ইলেকট্রিক গাড়ি থাকে, সেক্ষেত্রে এই বিষয়টি আপনার জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইলেকট্রিক গাড়িতে কিলোওয়াট আওয়ার হিসেবেই ব্যাটারির স্টোরেজ হিসাব হয়। কোনও গাড়িতে ৩০ কিলোওয়াটের ব্যাটারি প্যাক, তো কোনও গাড়িতে ২৬ কিলোওয়াট আওয়ারের ব্যাটারি প্যাক পাবেন আপনি।
বিজ্ঞাপন
গাড়ির দামের অনেকটাই এই ব্যাটারি প্যাকের উপর নির্ভর করে। যত দামি গাড়ি, তত বড় তার ব্যাটারি প্যাক। টেসলার মতো নামী ইলেকট্রিক গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা তাদের গাড়িতে ১০০ কিলোওয়াট আওয়ারের ব্যাটারি প্যাক দিয়ে থাকে।
একটি ইলেকট্রিক গাড়ি চার্জ হওয়ার পর, কত কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে, তা নির্ভর করে গাড়ি ব্যাটারিটির মাপের উপর। যদি গাড়িতে বড় মাপে ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়, সেক্ষেত্রে সাধারণ ইলেকট্রিক গাড়ির তুলনায় আরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারবেন আপনি।
আর তাই, আপনি যদি একটি নতুন ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই এই কিলোওয়াটের বিষয়টি মাথায় রাখতেই হবে আপনাকে। গাড়িটি কোন ধরনের কাজে ব্যবহার করবেন, তার উপর ভিত্তি করেই গাড়ির ব্যাটারি বাছাই করতে হবে আপনাকে।
এজেড