শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

পিছিয়ে পড়েছে বাজাজ, হারানো বাজার ফেরাতে আনছে নতুন পালসার

অটোমোবাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২২, ০৯:৩২ এএম

শেয়ার করুন:

পিছিয়ে পড়েছে বাজাজ, হারানো বাজার ফেরাতে আনছে নতুন পালসার

মোটরসাইকেলের জগতে অন্যতম নাম বাজাজ। ভারতে ছাড়িয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই প্রতিষ্ঠানের তৈরি বাইক সুনাম কুড়িয়েছে। বাংলাদেশেও সমান জনপ্রিয় বাজাজের বিভিন্ন মডেল। 

bajaj


বিজ্ঞাপন


বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে মোটরসাইকেল ও স্কুটার বিক্রি করে বাজাজ।

পালসার, ডমিনার এদের ফ্ল্যাগশিপ মডেল। এন্ট্রি লেভেলের ডিসকভার, প্লাটিনাও জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছে। 

bajajকমিউটার, স্পোর্টস ও অ্যাডভেঞ্চার বাইক তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু তারপরও দিনকে দিন পিছিয়ে যাচ্ছিল প্রতিষ্ঠানটি। কেননা, ভারতে রয়েল এনফিল্ড, হারলে ডেভিডসন, বিএমডব্লিউসহ খ্যাতনামা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতায় নামতে হচ্ছে। এতে করে কিছুটা পিছিয়ে যাচ্ছিল বাজাজ। 

অটোমোবাইল বিশেষজ্ঞদের মতো, সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে পিছিয়ে পড়ছে বাজাজ। তবে ভাগ্য ফেরাতে সহায়ক হতে পারে দুই নতুন মডেল।


বিজ্ঞাপন


অ্যাডভেঞ্চার বাইক

ডমিনার ও পালসার সিরিজ ছাড়া বর্তমান প্রজন্মকে উদ্বেলিত করতে পারে, এমন কোনো মডেল বাজাজের ঝুলিতে নেই। তাই এবারে সম্পূর্ণ ভিন্ন সেগমেন্টে নজর দিতে হবে তাদের। এই প্রসঙ্গে বলা যায়, এখন অ্যাডভেঞ্চার গোত্রের বাইকের প্রতি ক্রেতাদের বর্ধনশীল চাহিদা নিবারণ করতে বাজাজের উচিত সংশ্লিষ্ট মডেল বাজারে হাজির করা। যা হিরো এক্সপালসের মতো অ্যাডভেঞ্চার বাইকের সাথে টক্কর নিতে পারবে।

bajajএদিকে হিরো মোটোকর্পের মতো বাজাজেরও সাশ্রয়ী মডেল প্রস্তুতকারী হিসেবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তাই বাজার ধরতে সংস্থাটিকে বিশেষ বেগ পেতে হবে না বলেই আশা করা যায়। এখন বাজাজ যদি অ্যাডভেঞ্চার বাইক বাজারে আনে সে ক্ষেত্রে তার ইঞ্জিন কেমন হওয়া প্রয়োজন? বাজাজের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। কারণ বড় রেঞ্জের ইঞ্জিন ইতিমধ্যেই তাদের ঝুলিতে রয়েছে। বাইকটির ডিজাইনের প্রসঙ্গে বললে, এতে আপসোয়েপ্ট এগজস্ট, বেশি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স, এলইডি হেডল্যাম্প, স্পোক হুইল, এবং লং ট্রাভেল সাসপেনশন যুক্ত করা প্রয়োজন।

bajajবুলেটের প্রতিদ্বন্দ্বী বাইক

বাজাজের আইকনিক ক্রুজার মোটরসাইকেল অ্যাভেঞ্জার সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত। ভিন্ন ধরনের ক্রুজার স্টাইলিংয়ের কারণে এর জনপ্রিয়তাও নেহাত কম নয়। এটি ১৬০ সিসি এবং ২২০ সিসি মডেলে উপলব্ধ। গত ১৫ বছর ধরে বাজাজ বাইকটি বিক্রি করলেও, লঞ্চের পর থেকে বিশেষ আপডেট পায়নি এটি। যদি বাজাজ এতে গুরুগম্ভীর শব্দ, রেট্রো লুকের ডিজাইন, এবং ব্যালেন্সড সাসপেনশন আপডেট করে, তবে এটি বুলেটকেও কপালেও দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলতে সক্ষম হবে। আবার  অ্যাভেঞ্জারে যদি ডমিনারের ৪০০ সিসির ইঞ্জিন দেওয়া যায়, তবে তো কথাই নেই।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর