শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

যেখানে মোটরসাইকেলের আরাধনা হয়

অটোমোবাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:১০ এএম

শেয়ার করুন:

যেখানে মোটরসাইকেলের আরাধনা হয়

ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড রয়েল এনফিল্ড। সব বয়সীদের পছন্দের বাইক এটি। কিন্তু কখনও ভেবেছেন এই জনপ্রিয় বাহনটিকে আরাধনা করাও সম্ভব? এমনকি, ভারতের বুকে একটি মন্দিরও তৈরি করা হয়েছে এই বাইককে কেন্দ্র করে। এর পিছনে রয়েছে এক অলৌকিক গল্প।

তিন দশক আগেকার ঘটনা। রাজস্থানের মেইন রোড দিয়ে গভীর রাতে ছুটে চলেছে ৩৫০ সিসির রয়েল এনফিল্ড। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর আরএনজে ৭৭৭৩। হঠাৎ রাস্তার ধারের খাদে বাইকটি পড়ে যায়। মারা যান গাড়ির চালক ওম সিংহ রাঠৌর।


বিজ্ঞাপন


reপুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে জানতে পারেন, চালক তার বাইক নিয়ে পালি জেলার বাংড়ি শহর থেকে চোটিলা গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। গাড়ি চালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছে ধাক্কা মারেন ওম। জোরে ধাক্কা লাগায় পাশের খাদে গড়িয়ে পড়ে বাইকটি।

তদন্ত চলাকালীন পুলিশ বাইকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু পরের দিনের দৃশ্য দেখে সকলে অবাক। বাইকটি যেখানে রাখা ছিল, তা সেখান থেকে উধাও। খোঁজাখুঁজির পর ঘটনাস্থল থেকেই বাইকটি পাওয়া যায়। জানা যায়, রাত থেকে থানার কেউই সেই বাইকে হাত দেননি। তা হলে ঘটনাস্থলে বাইকটি পৌঁছল কী করে?

রহস্যের সমাধান করতে পুলিশ বাইকের ট্যাংক থেকে তেল বের করে চেইন দিয়ে বেঁধে রাখে। কিন্তু তার পরের দিনও একই ঘটনা। থানায় বাইকটি নেই। আবার ঘটনাস্থল থেকেই পাওয়া যায় গাড়িটি।

reদিনের পর দিন থানায় বাইকটি বেঁধে রাখা হলেও রোজ সকালবেলায় তা খুঁজে পাওয়া যেত দুর্ঘটনার জায়গা থেকেই। স্থানীয়েরা বলাবলি করতে শুরু করেন যে, এই ঘটনা অলৌকিক। বাইকের মধ্যেই ওম সিংহ বেঁচে রয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


তাই স্থানীয়রা সিদ্ধান্ত নেন, বাইকটি সেখান থেকে আর সরানো হবে না। জোধপুর থেকে ৫৩ কিলোমিটার দূরে পালি-জোধপুর হাইওয়ের উপর প্রয়াত বাইকচালকের নামে একটি মন্দির বানানো হয়।

ওম বান্নার এই মন্দিরটি ‘বুলেট বাবা’র মন্দির নামে স্থানীয়দের কাছে পরিচিত। ভারতের দর্শনীয় মন্দিরগুলোর তালিকায় ১৭ নম্বর স্থানে জোধপুরের ‘বুলেট বাবা’ মন্দিরের নাম রয়েছে।

reপালি-জোধপুর হাইওয়ের উপর দিয়ে যে যাত্রীরাই বাইক, ট্রাক অথবা গাড়ি নিয়ে যাত্রা করেন, প্রায় সকলেই এই মন্দিরে এসে আরাধনা করেন। পালন করা হয় বিভিন্ন রীতিনীতিও।

এই মন্দিরে শুধু মাত্র দর্শনার্থীদের ভিড়ই হয় না, অনেকেই স্রেফ মন্দিরটি ঘুরে দেখার জন্য আসেন। মন্দিরে ভিড় এমন উপচে পড়ে যে, রাস্তাতেও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সমস্যা দেখা দেয়। ফলে গাড়ি চলাচলও বিঘ্নিত হয়।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর