জ্বালানি তেলের দাম হু হু করে বেড়েছে। ফলে অনেকেই পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেনচালিত গাড়িকে সিএনজিতে রূপান্তর করে নিচ্ছেন। এতে করে জ্বালানি খরচ অনেকটাই কমবে।
আপনার পুরনো পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেনচালিত গাড়িতে খুব সহজেই সিএনজি কিট ইনস্টল করে নিতে পারবেন আপনি।
বিজ্ঞাপন
গাড়িকে সিএনজিতে রূপান্তরের জন্য শুধুমাত্র কয়েকটি কাজ করতে হবে। তাহলেই আপনার গাড়িটিকে পেট্রোল, অকটেন অথবা ডিজেল থেকে সিএনজিতে পরিবর্তন করতে পারবেন আপনি। চলুন দেখে নেওয়া যাক এই কাজের জন্য কোন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে আপনাকে।
রূপান্তরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে খোঁজ নিন
আপনার প্রিয় গাড়িটিকে সিএনজিতে পরিবর্তন করলে তার প্রতিদিনের খরচ অনেকটাই কমে আসবে। তবে, গাড়ি সিএনজিতে রূপান্তর করে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দেশে হাতেগোনা। তাই এসব প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালো ভাবে খোঁজ নিন। খরচ কেমন জানুন।
গাড়ি সম্পর্কে জানুন
বিজ্ঞাপন
সব গাড়িতে সবসময় সিএনজি কিট লাগানো সম্ভব হয় না। তাই আপনার গাড়িটির বিষয়ে আগে ভালো করে জেনে নিন। সাধারণত খুব পুরনো গাড়িতে সিএনজি কিট লাগানো সম্ভব হয় না। তবে যদি আপনার গাড়িটি তুলনামূলকভাবে নতুন হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে সিএনজি কিট লাগাতে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। সিএনজি কিট লাগানোর সময় অবশ্যই দেখে নেবেন সেটি সরকার অনুমোদিত কিনা। সবসময় শুধুমাত্র সরকার অনুমোদিত সিএনজি কিটই গাড়িতে লাগাবেন।
লাইসেন্স
যদি আপনার গাড়িতে সিএনজি কিট লাগানো সম্ভব হয়, সেক্ষেত্রে এই পরিবর্তন করার জন্য সরকারি অনুমোদন খুবই প্রয়োজন। এছাড়াও, আপনার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আপনার গাড়িটি যে এবার থেকে পেট্রলের বদলে সিএনজি তে চলবে তার অনুমোদনপত্রটি খুবই প্রয়োজন।
কোন সিএনজি কিট কিনবেন?
শুধুমাত্র সরকার অনুমোদিত ডিলারের কাছ থেকেই কিনবেন এই সিএনজি কিট। এছাড়াও, যেই সিএনজি কিটটি আপনি কিনছেন, সেটি আসল কিনা তাও যাচাই করে নেবেন।
ইনস্টল করার পদ্ধতি
সিএনজি কিট কেনার পর, নিজে কখনই তা গাড়িতে লাগাতে যাবেন না। এই কাজের জন্য একজন অভিজ্ঞ মেকানিকের সাহায্য অবশ্যই নিন।
এজেড
