শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

জ্বালানি খরচ বাঁচায় হাইব্রিড গাড়ি

অটোমোবাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ আগস্ট ২০২২, ১০:৪৩ এএম

শেয়ার করুন:

জ্বালানি খরচ বাঁচায় হাইব্রিড গাড়ি

দেশে জ্বালানির তেলের দাম এক লাখে বেড়েছে অনেকখানি। ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেলর মালিকাদের কঁপালে চিন্তা ভাঁজ। কী করে মোটরযানের জ্বালানির খরচ বাঁচাবেন সেটা নিয়েই তাদের দুশ্চিন্তা। আশার করা হচ্ছে পেট্রোল কিংবা অকটেনচালিত গাড়ির চেয়ে জ্বালানি খরচ কমায় হাইব্রিড গাড়ি। জানুন এই গাড়ির আদ্যোপান্ত। 
  
প্রাইভেট বা ব্যক্তিগত গাড়ির কিলোমিটার পাড়ি দিতে ব্যয় হচ্ছে কমবেশি ১১ টাকা। কিন্তু আপনার গাড়িটি যদি হয় ইাইব্রিড তবে আপনি দ্বিগুণ মাইলেজ পেতে পারেন।

hybrid carহাইব্রিড গাড়ি চলার জন্য প্রাথমিক শক্তি হিসেবে হাইব্রিড ব্যাটারি এবং দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে জ্বালানি তেল ব্যবহৃত হয়। ব্যাটারির চার্জ যদি শেষ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইঞ্জিন চালু হয়। ব্যাটারির শক্তি গাড়ির জন্য যথেষ্ট না হলে হাইব্রিড ব্যাটারি এবং ইঞ্জিন যৌথভাবে শক্তি উৎপাদন করে এবং গাড়ির চাকাকে গতিশীল রাখে। 


বিজ্ঞাপন


ব্যাটারি চাকার ঘূর্ণন গতি এবং ইঞ্জিনের পরিত্যক্ত কর্মশক্তি থেকে চার্জ সংগ্রহ করে। এভাবেই হাইব্রিড গাড়ি পরিচালিত হয়।

স্বাভাবিক ভাবে মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আপনি হাইব্রিড গাড়ি কেন কিনবেন? হাইব্রিড গাড়িতে একই সঙ্গে ফুয়েল এবং ব্যাটারির শক্তি ব্যবহৃত হয়। যা ফুয়েল খরচকে অর্ধেকে নামিয়ে আনে। গাড়ির শক্তি বা কার্যক্ষমতাকে হ্রাস না করে যে সুবিধা হাইব্রিড গাড়ি প্রদান করে তা সাধারণ গাড়ি দিতে পারে না। 

hybridহাইব্রিড গাড়ির দাম সাধারণ গাড়ি থেকে বেশি হলেও গাড়িতে ব্যবহৃত জ্বালানির খরচের সঙ্গে তুলনা করলে হাইব্রিড গাড়ি বেশ সাশ্রয়ী।

একটা সময় হাইব্রিড গাড়ির উপর ট্যাক্স অনেক বেশি ছিল। বর্তমানে এই ট্যাক্স অনেক কমে এসেছে। সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে মূল্য হওয়াতে বিক্রিও বেড়েছে। ১৩ লাখ থেকে শুরু করে কোটি কোটি টাকা মূল্যের হাইব্রিড গাড়িও দেশে পাওয়া যাচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


হাইব্রিড গাড়িতে জ্বালানি এবং ব্যাটারি শক্তি ব্যবহৃত হয়। ইঞ্জিন যখন জ্বালানিতে চলে, তখন ব্যাটারি ইঞ্জিনের পরিত্যক্ত শক্তি সংগ্রহ করে। আবার চাকা ঘুরলে (যেমন- উইন্ডমিল) যে ঘূর্ণন শক্তি উৎপাদন হয় তা থেকেও ব্যাটারি শক্তি পায়। আর যখনি ব্যাটারি পরিপূর্ণ বা আংশিক চার্জ হচ্ছে তখন ইঞ্জিন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে ব্যাটারির শক্তিতে গাড়ি চলতে থাকে। 

hybridমজার ব্যাপার হলো, এই পরিবর্তন গাড়ি নিজে থেকেই করে। এজন্য আলাদা কোন সুইচ চাপতে হয় না। গাড়ি নিজের প্রয়োজনে ব্যাটারি বা ফুয়েলকে জ্বালানি শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে।

হাইব্রিড গাড়ি সাধারণ গাড়ির মতোই রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। আলাদাভাবে যত্নশীল হওয়ার প্রয়োজন নেই।

হাইব্রিড গাড়ি ছাড়াও সাধারণ গাড়িতেও ব্যাটারি থাকে। হাইব্রিড গাড়িতে সাধারণত সিটের নিচে বা পেছনের বুটে ব্যাটারি থাকে। এসব জায়গায় পানি প্রবেশের আশঙ্কা তুলনামূলকভাবে কম। যদি হাইব্রিড ব্যাটারিতে পানি ঢোকে তবে ব্যাটারিকে সুরক্ষিত রাখতে সার্কিট ব্রেকার রয়েছে। যা হাইব্রিড সিস্টেমকে সুরক্ষা দেয়। 

হাইব্রিড গাড়ি যেহেতু অটোমোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থেকেই প্রস্তুত হয়ে আসে, সেহেতু পৃথিবীর নামকরা গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বুঝে শুনেই এসব গাড়ি নির্মাণ করে। তাই এ গাড়ি সিএনজিতে রুপান্তর করা গাড়ির চেয়েও অনেক নিরাপদ এবং কার্যকরী। 

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর