রোববার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

নতুন রূপে আসছে টাটা পাঞ্চ: নজরকাড়া ফিচারে বাজিমাত করবে এই ফেসলিফট

অটোমোবাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৩ এএম

শেয়ার করুন:

নতুন রূপে আসছে টাটা পাঞ্চ: নজরকাড়া ফিচারে বাজিমাত করবে এই ফেসলিফট
নতুন রূপে আসছে টাটা পাঞ্চ: নজরকাড়া ফিচারে বাজিমাত করবে এই ফেসলিফট

বাজারে আসার পর থেকেই টাটা মোটরসের অন্যতম সফল মডেলে পরিণত হয়েছে ‘টাটা পাঞ্চ’। বছরের পর বছর ধরে এই কমপ্যাক্ট এসইউভিটি (SUV) বিক্রির শীর্ষে থাকলেও এর মূল নকশায় এতদিন বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে এবার সেই আক্ষেপ মিটতে চলেছে। আধুনিক নকশা ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে আসছে টাটা পাঞ্চ ফেসলিফট (Tata Punch Facelift)। সম্প্রতি রাস্তায় এর পরীক্ষামূলক চলাচলের ছবি (স্পাই শট) ফাঁস হয়েছে, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে খুব শিগগিরই এর উৎপাদন শুরু হবে।

২০২৬-এর শুরুতেই বাজারে আসার সম্ভাবনা


বিজ্ঞাপন


ফাঁস হওয়া ছবিতে দুটি পরীক্ষামূলক গাড়ি রাস্তায় চলতে দেখা গেছে। এতে ডুয়াল-টোন ছাদ এবং পাঞ্চ ইভি-র (EV) মতো স্টাইলিংয়ের ছাপ স্পষ্ট। গাড়িগুলো প্রায় চূড়ান্ত উৎপাদনের স্তরে (Production-ready) রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধেই এটি ভারতের বাজারে লঞ্চ হতে পারে।

নকশায় আমূল পরিবর্তন

ভারী ছদ্মাবরণে (Camouflage) ঢাকা থাকলেও নতুন টাটা পাঞ্চের কিছু পরিবর্তন স্পষ্ট চোখে পড়ছে:

বাম্পার ও গ্রিল: সামনে থাকছে নতুন ডিজাইনের বাম্পার। বাতাসের প্রবাহ ঠিক রাখতে মূল গ্রিলে দুটি অনুভূমিক ছিদ্র (Slits) রাখা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


লাইট: আগের চেয়েও পাতলা এলইডি ডিআরএল (DRL) এবং উলম্বভাবে সাজানো হেডল্যাম্প গাড়িটিকে আধুনিক লুক দিয়েছে।

নিরাপত্তা প্রযুক্তি: এতে প্রথমবারের মতো যুক্ত হতে পারে ৩৬০-ডিগ্রি ক্যামেরা, যা পার্কিং ও ব্লাইন্ড-স্পট মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা বাড়াবে।

চাকা: নতুন ডিজাইনের অ্যালয় হুইল থাকলেও বর্তমান মডেলের মতো কালো বডি ক্ল্যাডিং অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

car

অন্দরসজ্জা ও আধুনিক প্রযুক্তি

গাড়িটির ভেতরের অংশেও আসছে বড় চমক। আগের স্পাই শট অনুযায়ী এতে থাকছে:

আলোকিত লোগোসহ নতুন স্টিয়ারিং হুইল।

১০.২৫ ইঞ্চি বড় টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম।

পুরোপুরি ডিজিটাল ১০.২৫ ইঞ্চি ড্রাইভার ডিসপ্লে।

সামনের আসনে ভেন্টিলেশন সুবিধা এবং সম্ভবত লেভেল-২ এডিএএস (ADAS) প্রযুক্তি।

আরও পড়ুন: ছয় বছর পর বাজারে ফিরল রেনল্ট ডাস্টার মডেল

ইঞ্জিন ও কার্যক্ষমতা

যান্ত্রিকভাবে গাড়িটিতে বড় কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। এতে বর্তমানের ১.২ লিটার ন্যাচারালি অ্যাসপিরেটেড পেট্রোল ইঞ্জিনই থাকবে। পাশাপাশি সিএনজি ভ্যারিয়েন্টেও একই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে। টাটা মোটরসের সিগনেচার 'ডুয়াল সিএনজি ট্যাঙ্ক' প্রযুক্তি এখানেও থাকছে। গিয়ারবক্স হিসেবে থাকবে ৫-স্পিড ম্যানুয়াল এবং ৫-স্পিড এএমটি (AMT) অপশন।

নতুন ডিজাইন এবং প্রিমিয়াম সব ফিচার নিয়ে টাটা পাঞ্চ ফেসলিফট বাজারে নিজের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর