শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

হঠাৎ বাইকের মাইলেজ কমে গেছে? জ্বালানি সাশ্রয়ে মেনে চলুন ৫টি সহজ নিয়ম

অটোমোবাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৮ পিএম

শেয়ার করুন:

হঠাৎ বাইকের মাইলেজ কমে গেছে? জ্বালানি সাশ্রয়ে মেনে চলুন ৫টি সহজ নিয়ম
হঠাৎ বাইকের মাইলেজ কমে গেছে? জ্বালানি সাশ্রয়ে মেনে চলুন ৫টি সহজ নিয়ম

বাইক রাইডারদের কাছে বর্তমানে সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ হলো জ্বালানির ক্রমবর্ধমান দাম। এর ওপর যদি শখের বাইকটি হঠাৎ মাইলেজ কমিয়ে দেয়, তবে পকেটে টান পড়া স্বাভাবিক। অনেক সময় রাইডাররা বুঝতে পারেন না ঠিক কী কারণে জ্বালানি খরচ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যান্ত্রিক ত্রুটির চেয়েও বাইক চালানোর ধরন এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই মূলত মাইলেজ কমে যায়। কিছু ছোটখাটো পরিবর্তন আর সচেতনতাই পারে আপনার বাইকের সেরা পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে।

মাইলেজ কমে যাওয়ার মূল কারণ ও সমাধান

১. রাইডিং অভ্যাসে পরিবর্তন: মাইলেজ কমা বা বাড়ার বিষয়টি অনেকাংশেই রাইডারের ওপর নির্ভর করে। ঘনঘন হঠাৎ ব্রেক করা, অপ্রয়োজনীয়ভাবে ইঞ্জিন রেভ করা কিংবা দীর্ঘক্ষণ ক্লাচ চেপে রাখা—এই ভুলগুলো জ্বালানি খরচ বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। সঠিক গিয়ার ব্যবহার এবং মসৃণ গতিতে বাইক চালালে উল্লেখযোগ্য হারে মাইলেজ বৃদ্ধি পায়।

২. জ্বালানির গুণগত মান: মাইলেজের ক্ষেত্রে পেট্রোলের মান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নমানের বা ভেজাল জ্বালানি ব্যবহারের ফলে ইঞ্জিনের ভেতরে কার্বন জমে যায়, যা ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই সবসময় নির্ভরযোগ্য পাম্প থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করা উচিত।

5_Tips_to_Maximize_Motorcycle_Fuel_Efficiency

৩. ইঞ্জিন অয়েল ও এয়ার ফিল্টার: ইঞ্জিনের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে নির্দিষ্ট সময় পর পর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করা জরুরি। অন্যথায় ইঞ্জিনের অভ্যন্তরীণ ঘর্ষণ বেড়ে গিয়ে জ্বালানি বেশি খরচ করে। একইভাবে, এয়ার ফিল্টার নোংরা থাকলে ইঞ্জিন পর্যাপ্ত বাতাস পায় না, যা সরাসরি মাইলেজে প্রভাব ফেলে।


বিজ্ঞাপন


৪. টায়ার প্রেশার ও ঘর্ষণ: এ বিষয়ে বাইক বিশেষজ্ঞ রুপম ইসলাম জানান, “মাইলেজের ক্ষেত্রে টায়ার প্রেশার ঠিক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্তত দুই সপ্তাহ অন্তর টায়ারের হাওয়া পরীক্ষা করা উচিত। কম হাওয়ায় টায়ার থাকলে ইঞ্জিনকে বাড়তি চাপ নিতে হয়, ফলে জ্বালানি খরচ বাড়ে।”

আরও পড়ুন: চলন্ত মোটরসাইকেলে হঠাৎ আগুন: জীবন বাঁচাতে ও দুর্ঘটনা এড়াতে যা করবেন

৫. নিয়মিত সার্ভিসিং: অনেকেই ছোটখাটো যান্ত্রিক সমস্যাকে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু সামান্য এই অবহেলাই বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। সময়মতো প্রফেশনাল সার্ভিসিং করালে ইঞ্জিন, ব্রেক ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ সচল থাকে এবং বাইকের মাইলেজ অটুট থাকে।

উপরে উল্লেখিত সাধারণ বিষয়গুলো নিয়মিত মেনে চললেই ইঞ্জিনের আয়ু বাড়বে এবং বাড়তি জ্বালানি খরচ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর