মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কম সিসির বাইক নিয়ে কি পাহাড়ে যাওয়া সম্ভব?

অটোমোবাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০৯ এএম

শেয়ার করুন:

কম সিসির বাইক নিয়ে কি পাহাড়ে যাওয়া সম্ভব?
পাহাড়ি সড়কে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য আলাদা কৌশল প্রয়োজন। মডেল: আলাউদ্দিন আল আজাদ আলিফ।

বাংলাদেশের কেওক্রাডং, নীলগিরি, চিম্বুক কিংবা বান্দরবানের বিভিন্ন পাহাড়ি রাস্তায় এখন বাইক চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এতে অনেক বাইকপ্রেমীর মনেই প্রশ্ন জাগছে কম সিসির বাইক নিয়ে কি এসব পাহাড়ি পথে যাওয়া নিরাপদ ও বাস্তবসম্মত? বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক কৌশল জানা থাকলে কম সিসির বাইক নিয়েও পাহাড়ে যাওয়া সম্ভব, তবে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।

পাহাড়ে বাইক চালাতে কত সিসি দরকার


বিজ্ঞাপন


পাহাড়ি রাস্তায় স্বাচ্ছন্দ্যে বাইক চালানোর জন্য সাধারণত ১৫০ থেকে ২০০ সিসি বাইককে আদর্শ ধরা হয়। এই সিসির বাইকে পর্যাপ্ত শক্তি ও টর্ক থাকে, যা খাড়া রাস্তা, বাঁক ও উঁচুনিচু পথে চলতে সাহায্য করে। তবে বাস্তবে অনেক বাইকার ১০০ থেকে ১২৫ সিসির বাইক নিয়েও পাহাড়ে গেছেন এবং সফলভাবে ফিরেছেন।

কম সিসির বাইকে কী সমস্যা হতে পারে

১০০ বা ১২৫ সিসির বাইক হালকা ও নিয়ন্ত্রণে সহজ হলেও পাহাড়ে উঠতে গেলে ইঞ্জিনে চাপ পড়ে। বিশেষ করে দুজন যাত্রী বা ভারী লাগেজ থাকলে শক্তির ঘাটতি অনুভূত হতে পারে। দীর্ঘ সময় খাড়া পথে চালালে ইঞ্জিন গরম হওয়ার ঝুঁকিও থাকে। তাই গতি নিয়ন্ত্রণ ও বিরতি নেওয়া জরুরি।

গিয়ার ব্যবহারে সতর্কতা


বিজ্ঞাপন


পাহাড়ি রাস্তায় সঠিক গিয়ার ব্যবহার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কম গতিতে কখনোই বেশি গিয়ার ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে ইঞ্জিন দুর্বল হয়ে পড়ে। বরং নিচু গিয়ারে মাঝারি আরপিএম রেখে ধীরে ধীরে ওঠা ভালো। এতে ইঞ্জিনের ওপর চাপ কম পড়ে এবং নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকে।

solo-2401061003

ব্রেক ও নামার সময় করণীয়

পাহাড় থেকে নামার সময় শুধু ব্রেকের ওপর নির্ভর না করে ইঞ্জিন ব্রেক ব্যবহার করা উচিত। দীর্ঘ সময় ব্রেক চেপে রাখলে ব্রেক ফেইল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। নিচু গিয়ারে রেখে ধীরে নামলে বাইক বেশি নিয়ন্ত্রণে থাকে।

বাইকের ধরন ও প্রস্তুতি

অ্যাডভেঞ্চার বা ট্যুরিং বাইক পাহাড়ি রাস্তার জন্য বেশি উপযোগী, কারণ এগুলোর গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ও সাসপেনশন ভালো। তবে কম সিসির কমিউটার বাইক নিয়েও গেলে টায়ারের গ্রিপ, ব্রেক এবং ক্লাচ ঠিক আছে কিনা আগে পরীক্ষা করা জরুরি। যাত্রার আগে ফুল সার্ভিসিং করিয়ে নেওয়াই নিরাপদ।

চালকের অভিজ্ঞতা সবচেয়ে বড় বিষয়

বিশেষজ্ঞদের মতে, সিসির চেয়েও চালকের অভিজ্ঞতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যিনি নিয়মিত বাইক চালান, পাহাড়ি পথে ধৈর্য ধরে ধীরে চালাতে পারেন, তিনি কম সিসির বাইকেও নিরাপদে পাহাড়ি রাস্তা পার করতে পারবেন।

আরও পড়ুন: নতুন পালসার আনল বাজাজ, যুক্ত হলো ডুয়েল চ্যানেল এবিএস

সব মিলিয়ে বলা যায়, বাংলাদেশের কেওক্রাডংসহ পার্বত্য এলাকার পাহাড়ি রাস্তায় কম সিসির বাইক নিয়ে যাওয়া অসম্ভব নয়। তবে গতি কম রাখা, সঠিক গিয়ার ব্যবহার, অতিরিক্ত লোড না নেওয়া এবং বাইকের যান্ত্রিক অবস্থা ঠিক রাখলেই এই যাত্রা নিরাপদ ও উপভোগ্য হতে পারে।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর