রোববার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

RPM : বাইক ও গাড়ির আরপিএম আসলে কী?

অটোমোবাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৭ এএম

শেয়ার করুন:

RPM : বাইক ও গাড়ির আরপিএম আসলে কী?
RPM : বাইক ও গাড়ির আরপিএম আসলে কী?

গাড়ির অ্যাক্সিলারেটর চেপে ধরা বা বাইকের থ্রটল বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই আমরা গতি বৃদ্ধির প্রত্যাশা করি। কিন্তু এর পেছনে থাকে ইঞ্জিনের সূক্ষ্ম ও জটিল কাজের প্রক্রিয়া। ইঞ্জিন যত বেশি শক্তি তৈরি করতে শুরু করে তার গতি তত বাড়ে এবং এই গতি বোঝার জন্য ড্যাশবোর্ডে থাকে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক। একটি স্পিডোমিটার, যা বলে দেয় গাড়ি প্রতি ঘণ্টায় কত কিলোমিটার চলছে এবং অন্যটি ট্যাকোমিটার যা আরপিএম সম্পর্কে তথ্য দেয়। নতুন চালকেরা সাধারণত স্পিডোমিটারে বেশি নজর দেন কিন্তু আরপিএম বোঝা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি জ্বালানি সাশ্রয়, ইঞ্জিনের স্বাস্থ্য এবং নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।

আরপিএম কীভাবে কাজ করে


বিজ্ঞাপন


আরপিএম বলতে প্রতি মিনিটে ঘূর্ণনের সংখ্যা বোঝায়। ইঞ্জিনের ক্র্যাঙ্কশ্যাফ্ট এক মিনিটে কতবার ঘোরে সেটাই আরপিএম হিসেবে গণনা করা হয়। ক্র্যাঙ্কশ্যাফ্টের সঙ্গে যুক্ত থাকে পিস্টন এবং প্রতিটি ঘূর্ণনের সঙ্গে পিস্টন উপরে-নিচে নড়াচড়া করে শক্তি তৈরি করে। তাই আরপিএম ইঞ্জিনের অভ্যন্তরীণ গতির সঠিক ধারণা দেয়।

RPM-in-cars-bikes

ট্যাকোমিটার কীভাবে পড়তে হয়

ট্যাকোমিটারে প্রদর্শিত মান সাধারণত হাজারে ধরা হয়। যদি কাঁটা ১-এ থাকে এবং চিহ্নে হাজার লেখা থাকে তাহলে ইঞ্জিন ১০০০ আরপিএম গতিতে চলছে। অর্থাৎ ক্র্যাঙ্কশ্যাফ্ট প্রতি মিনিটে এক হাজার বার ঘুরছে। গাড়ির গতি বাড়ালে এই কাঁটা ধীরে ধীরে উপরের দিকে ওঠে। বেশিরভাগ গাড়িতে ট্যাকোমিটার ১ থেকে ৮ পর্যন্ত চিহ্নিত থাকে যা ইঙ্গিত করে যে সর্বোচ্চ ৮০০০ আরপিএম পর্যন্ত ঘুরতে পারে। আরামদায়ক স্বাভাবিক ড্রাইভিংয়ে ইঞ্জিন সাধারণত দুই হাজার থেকে তিন হাজার আরপিএমের মধ্যে থাকে।


বিজ্ঞাপন


লাল চিহ্নের গুরুত্ব

ট্যাকোমিটারে একটি লাল অংশ থাকে যা সাধারণত উচ্চ মানে শুরু হয়। এটি ইঞ্জিনের নিরাপদ সীমা নির্দেশ করে। কাঁটা যদি লাল অংশে পৌঁছে যায় তাহলে ক্র্যাঙ্কশ্যাফ্ট খুব দ্রুত ঘুরতে থাকে এবং ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হওয়ার ঝুঁকি দেখা দেয়। এর ফলে ইঞ্জিনের ভেতরের অংশে বাড়তি চাপ পড়ে। লাল চিহ্নে পৌঁছানো মানে ইঞ্জিন ক্ষতির অত্যন্ত কাছাকাছি চলে এসেছে।

high-rpm

গিয়ারবক্সে আরপিএমের প্রভাব

ম্যানুয়াল গাড়িতে চালককে গিয়ার বদলাতে হয় যাতে আরপিএম কমে নিরাপদ অবস্থায় ফিরে আসে। আরপিএম খুব বেশি বেড়ে গেলে গিয়ার এক ধাপ করে কমিয়ে এনে ইঞ্জিনকে স্বাভাবিক গতিতে আনা হয়। স্বয়ংক্রিয় গাড়িতে গাড়ির সেন্সর নিজে থেকেই আরপিএম নিয়ন্ত্রণ করে এবং লাল চিহ্নে পৌঁছালে গতি কমিয়ে নিরাপদ সীমায় ফিরিয়ে আনে। কিছু স্পোর্টস গাড়িতে এই সীমা আরও বেশি হতে পারে।

আরও পড়ুন: এয়ারফিল্টার: শীতকালে মোটরসাইকেলের এই যন্ত্র দ্রুত নষ্ট হয়

আরপিএম সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকলে ইঞ্জিনের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং ড্রাইভিং হয় আরও নিরাপদ ও আরামদায়ক।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর