মোটরসাইকেল চালানোর সময় ইঞ্জিনের শক্তি চাকার সঙ্গে সংযুক্ত রাখতে ক্লাচ প্লেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু অনেক চালকের অভিযোগ—মোটরসাইকেলের ক্লাচ প্লেট বারবার নষ্ট হয় বা ঠিকমতো কাজ করে না। এর পেছনে রয়েছে কিছু সাধারণ কারণ, যা জানা থাকলে সহজেই এ সমস্যা এড়ানো যায়।
বিজ্ঞাপন
১. ভুল রাইডিং অভ্যাস
চালকরা অনেক সময় ক্লাচ লিভার অর্ধেক চেপে রেখে চালান, বিশেষ করে ট্রাফিকে ধীরে চলার সময়। এতে ক্লাচ প্লেট পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন বা সংযুক্ত হয় না, ফলে ঘর্ষণ বেড়ে যায় এবং ক্লাচ দ্রুত ক্ষয় হয়।
২. নিম্নমানের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার:
ইঞ্জিন অয়েল শুধু ইঞ্জিন নয়, ক্লাচ প্লেটের ঘর্ষণ নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে। নিম্নমানের বা সময়মতো পরিবর্তন না করা তেল ক্লাচের ঘর্ষণ বাড়ায় এবং তাপ উৎপন্ন করে, যা ক্লাচ প্লেটের আয়ু কমিয়ে দেয়।
বিজ্ঞাপন
৩. অতিরিক্ত লোড বা অতিরিক্ত গতি:
মোটরসাইকেলে নির্ধারিত ওজনের বেশি বহন করলে বা বারবার অতিরিক্ত গতিতে চালালে ইঞ্জিনে চাপ পড়ে। সেই চাপ সরাসরি ক্লাচে প্রভাব ফেলে এবং ক্লাচ প্লেট দ্রুত নষ্ট হয়।
৪. ক্লাচ কেবল বা স্প্রিং ঠিকমতো সেট না থাকা:
অনেক সময় ক্লাচ কেবলের টান ঠিকভাবে সামঞ্জস্য না করলে ক্লাচ পুরোপুরি কাজ করে না। এতে ঘর্ষণ বাড়ে এবং ক্লাচ প্লেট ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৫. নিম্নমানের ক্লাচ প্লেট ব্যবহার:
বাজারে অনেক সস্তা ও নিম্নমানের ক্লাচ প্লেট পাওয়া যায়, যা টেকসই নয়। এগুলো সহজেই অতিরিক্ত তাপে পুড়ে যায় বা ঘষে ক্ষয়ে যায়।
সমাধান ও রক্ষণাবেক্ষণ টিপস:
ক্লাচ পুরোপুরি চেপে বা ছেড়ে ব্যবহার করুন, অর্ধেক চেপে রাখবেন না।
প্রতি ১,০০০–১,৫০০ কিলোমিটার পর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করুন।
অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টারে ক্লাচ কেবল ঠিকমতো অ্যাডজাস্ট করান।
ওভারলোড বা রেসিং স্টাইল ড্রাইভিং এড়িয়ে চলুন।
শুধুমাত্র কোম্পানি অনুমোদিত বা ভালো মানের ক্লাচ প্লেট ব্যবহার করুন।
আরও পড়ুন: বাইকের গিয়ার বদলানোর সময় ক্লাচ ফুল প্রেস করবেন নাকি হাফ?
সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও চালানোর অভ্যাস গড়ে তুললে মোটরসাইকেলের ক্লাচ প্লেট দীর্ঘদিন ভালো থাকবে এবং জ্বালানিরও সাশ্রয় হবে।
এজেড

