গাড়ির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ গিয়ার লিভার। গতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খেয়াল করলে দেখবেন গিয়ারের পাশেই P, R, N, D, S, L ইত্যাদি ইংরেজি অক্ষর লেখা থাকে। নির্দিষ্ট এই অক্ষর লেখার কারণ কী?
মূলত এর প্রত্যেকটি অক্ষর এক এক শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। গাড়ির গতি সম্পর্কিত বিভিন্ন অবস্থান নির্দেশ করে এগুলো। চলুন এই অক্ষরগুলো পূর্ণ রূপ ও কাজ সম্পর্কে জেনে নিই।
বিজ্ঞাপন
P (Park)
এই অবস্থানে থাকলে গিয়ার লকড হয়ে থাকবে। চাকা সামনে পেছনে কোন রোটেশন করবে না।
ব্যবহার: গাড়ি পার্ক করা থাকলে কিংবা জ্যামে আটকে থাকলে এটি ব্যাবহার করা হয়।
R (Reverse)
বিজ্ঞাপন
চাকা পেছনের দিকে ঘুরাতে পারবেন এই বরাবর গিয়ার রাখলে।
ব্যবহার: গাড়িকে পেছনের দিকে মুভ করতে এটি ব্যাবহার করা হয়।
N (Neutral)
ইঞ্জিন বন্ধ থাকা অবস্থাতেও চাকা সামনে পেছনে যেকোনো দিকে ঘুরতে পারবে এই অবস্থানে।
ব্যবহার: খুব অল্প সময়ের জন্য ট্রাফিক জ্যামে থাকলে অথবা গাড়িকে কিছুক্ষণ ইঞ্জিন চালু অবস্থায় স্থির রাখতে হলে এটি ব্যাবহার করা হয়।
D (Drive)
গাড়ি চালানোর জন্য এটা ব্যাবহার করা হয়।

S (Sport)
লো ট্রান্সমিশনে হাই টর্ক আউটপুট দেয় এটি
ব্যবহার: গাড়ি স্পোর্টলি চালাতে এটি ব্যাবহার করা হয়।
L (Low)
ট্রাকশন কন্ট্রোল বেড়ে যায় এই পর্যায়ে
ব্যবহার: অল্প স্পীডে বেশী পাওয়ারের দরকার হলে এটা ব্যাবহার করা হয় (যেমন- গর্ত থেকে গাড়িকে টেনে তোলা)
OD (Over Drive)
খুব রাফলি গাড়ি চালাতে হলে OD অন করতে হয়। ৬০ কিলোমিটারের বেশি স্পিডে গাড়ি চললে OD অন রাখতে পারেন। এটি গাড়িকে ইনস্ট্যান্ট স্পিড দিবে।
রানিং অবস্থায় D থেকে সরাসরি R দিলে কী হবে?
এমনটা কখনো সম্ভব নয়। কারণ, ব্রেকে পা না রাখলে গিয়ার লিভার কাজ করবে না। চলন্ত অবস্থায় শুধু D এবং S এর মাঝে যেকোনো একটিতে শিফট করা যায়। অন্যগুলোতে শিফট করা যায় না।
অনেক গাড়িতে OD দেখা যায় না কেন?
কারণ, বর্তমানে অনেক গাড়িতে অটোমেটিক OD আসে। গাড়ি নিজেই ঠিক করে নেয় কখন OD তে চলবে।
গাড়ির গিয়ার লিভারের অক্ষরগুলোর পূর্ণ রূপ এবং কাজ কি আগে থেকে জানা ছিল আপনার?
এনএম

