বর্তমান মোটরসাইকেল মার্কেটে অটোমেটিক বা সিম্পলিশিফাইড গিয়ার ট্রান্সমিশন (AT) ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সাধারণত স্কুটার ব্যবহারকারীরা যেহেতু ক্লাচ ব্যবহার না করেই সহজে গিয়ার পরিবর্তন করতে পারেন, তাই এই প্রযুক্তি মোটরসাইকেলেও অনেকের কাছে আকর্ষণীয়।
অটোমেটিক ট্রান্সমিশন কী?
অটোমেটিক বা সিঙ্গেল লিভার ট্রান্সমিশনে ড্রাইভারকে ক্লাচ বা ম্যানুয়াল গিয়ার পরিবর্তনের ঝামেলা নেই। শুধুমাত্র থ্রটল এবং ব্রেক ব্যবহার করেই মোটরসাইকেল চলানো যায়। এটি বিশেষ করে শহুরে ট্রাফিক বা শুরু-থাম ট্রাফিকের জন্য খুবই সুবিধাজনক।

কোন মডেলের মোটরসাইকেলে AT সুবিধা রয়েছে?
১. Honda X-Blade Automatic / Honda Navi
বিজ্ঞাপন
হোন্ডার কিছু ছোট মোটরসাইকেল মডেল এবং লাইটওয়েট মোটরবাইকগুলোতে CVT (Continuously Variable Transmission) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
এই মডেলে ক্লাচ প্যাডেল বা লিভার নেই, তাই শহরের ট্রাফিকে সহজে চলাচল সম্ভব।
২. TVS NTORQ 125 / TVS iQube Electric
TVS-এর স্কুটার মডেল NTORQ এবং ইলেকট্রিক iQube-এ AT সিস্টেম রয়েছে।
ম্যানুয়াল গিয়ার ব্যবহারের ঝামেলা নেই, স্টপ-স্টার্ট ট্রাফিকেও সহজে চালনা সম্ভব।

৩. Yamaha Fascino / Yamaha Ray ZR
ইয়ামাহার বেশ কিছু ছোট স্কুটার মডেলে স্বয়ংক্রিয় গিয়ার প্রযুক্তি রয়েছে।
লাইটওয়েট, কমপ্যাক্ট ও স্বয়ংক্রিয় হওয়ায় নতুন চালকদের জন্য সুবিধাজনক।
৪. Suzuki Burgman Street / Suzuki Access 125
সুজুকির Burgman স্ট্রিট এবং Access 125 স্কুটারেও CVT প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছে।
লম্বা রাইড বা শহরের ট্রাফিকের জন্য আদর্শ।
সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা
সুবিধা:
ট্রাফিকের মধ্যে সহজ চালনা
ক্লাচ ব্যবহারের ঝামেলা নেই
নতুন চালক ও মহিলাদের জন্য সুবিধাজনক
স্টার্ট-স্টপ ট্রাফিকে কম ক্লান্তি
সীমাবদ্ধতা:
ম্যানুয়াল বাইকের তুলনায় কিছুটা শক্তি কম পাওয়া যায়
কিছু মডেলের দাম বেশি
দীর্ঘ রাইডে পারফরম্যান্স সীমিত হতে পারে
আরও পড়ুন: হোন্ডার প্রথম উচ্চ ক্ষমতার ইলেকট্রিক বাইক আসছে, টিজারে ঝলক
স্কুটারের মতো অটোমেটিক ট্রান্সমিশন এখন মোটরসাইকেল মার্কেটেও ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে। শহুরে ট্রাফিকের জন্য এটি সুবিধাজনক হলেও যারা স্পোর্টি রাইড বা দীর্ঘ দূরত্বে যাতায়াত করেন, তারা ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন বেছে নিতে পারেন। তবে নতুন বা সুবিধাজনক চালনার জন্য এই প্রযুক্তি একটি বড় ইতিবাচক পরিবর্তন।
এজেড

