মোটরসাইকেলের টায়ার হলো নিরাপদ ও আরামদায়ক রাইডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে অধিকাংশ রাইডারই ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেন না কখন টায়ার বদলানো জরুরি। সময়মতো টায়ার পরিবর্তন না করলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যায় বহুগুণ। নিচে উল্লেখ করা হলো কয়েকটি লক্ষণ, যেগুলো দেখলেই বোঝা যাবে টায়ার বদলানোর সময় এসে গেছে।
১. ট্রেড ওয়্যার ইন্ডিকেটর (TWI) দেখা গেলে
বিজ্ঞাপন
প্রতিটি টায়ারে থাকে ছোট ছোট রাবার ব্লক, যেগুলো ট্রেড গভীরতার নির্দেশক (TWI)। যখন টায়ারের গ্রিপ কমে গিয়ে এই ব্লকগুলোর সমান হয়ে যায়, তখনই বুঝবেন টায়ার বদলানোর সময় হয়ে গেছে।
২. টায়ারের গ্রিপ কমে যাওয়া
রাস্তায় হালকা বৃষ্টিতে বা ব্রেক করলে যদি বাইক পিছলে যেতে থাকে, তাহলে ধরে নিতে হবে টায়ারে যথেষ্ট গ্রিপ নেই। এটি মারাত্মক ঝুঁকির লক্ষণ।

বিজ্ঞাপন
৩. টায়ারের মধ্যে ফাটল বা কাটাছেঁড়া দেখা গেলে
টায়ারের পাশে বা চলার পথে ছোট ছোট ফাটল, কাটা দাগ বা বুদবুদ দেখা গেলে টায়ার দুর্বল হয়ে গেছে। এই অবস্থায় টায়ার ফেটে যেতে পারে যে কোনো সময়।
৪. অসামান্যভাবে ঘষে যাওয়া বা অমসৃণ পরিধান
টায়ারের এক পাশে বেশি বা অসমভাবে ক্ষয় হলে বুঝবেন চাকা বা সাসপেনশনে সমস্যা আছে এবং টায়ারটি দ্রুত বদলানো উচিত।
৫. টায়ার পুরোনো হয়ে গেলে (৩–৫ বছর পর)
চাকা দেখতে ঠিকঠাক হলেও রাবারের গুণগত মান কমে যেতে পারে। সাধারণত ৩–৫ বছর পর টায়ার বদলানো ভালো।
আপনি চাইলে টায়ারের সাইডে থাকা ডিওটি( DOT) কোড দেখে উৎপাদনের তারিখ বুঝতে পারবেন।
৬. প্রচুর পাংচারের ঘটনা ঘটলে
টায়ারে একের পর এক পাংচার হলে বুঝবেন রাবার দুর্বল হয়ে গেছে। বারবার টিউব বা টিউবলেস রিপেয়ার না করে নতুন টায়ার লাগান।
৭. চালানোর সময় অস্বাভাবিক ঝাঁকুনি বা শব্দ
চাকা ভারসাম্যহীন বা টায়ার ফেটে গেলে চালানোর সময় বাইকে কাঁপুনি বা শব্দ হয়। দ্রুত চেক করে টায়ার বদলাতে হবে।

করণীয়:
প্রতি ১০,০০০–১৫,০০০ কিমি ব্যবহারের পর টায়ার চেক করান।
ব্র্যান্ডেড ও মানসম্পন্ন টায়ার ব্যবহার করুন।
আরও পড়ুন: কোন কোম্পানির মোটরসাইকেলের স্পেয়ার পার্টস সহজে ও সস্তায় পাওয়া যায়?
নির্দিষ্ট এয়ার প্রেশার বজায় রাখুন।
টায়ার সময়মতো বদল না করলে শুধু বাইক নয়, আপনার জীবনও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাই সতর্ক হোন, সচেতন হোন।
এজেড

