মোটরসাইকেল কিনতে চান, কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না—নগদে কিনবেন, না কিস্তিতে? দুটো অপশনেই সুবিধা ও অসুবিধা আছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জেনে নিন কোনটি আপনার জন্য বেশি লাভজনক।
নগদে মোটরসাইকেল কেনার সুবিধা
১. মোট দাম কম পড়ে
নগদে কেনার সবচেয়ে বড় সুবিধা—আপনাকে কোনও অতিরিক্ত সুদ বা প্রসেসিং ফি দিতে হয় না।
উদাহরণ: যে বাইক কিস্তিতে ২ লাখ ২০ হাজার টাকায় পড়বে, তা নগদে হয়তো ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকায় মিলবে।

বিজ্ঞাপন
২. কোনও মাসিক চাপ নেই
নগদে একবারে মূল্য পরিশোধ করে ফেললে পরে মাসিক কিস্তির চিন্তা থাকে না।
৩. ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক সুবিধা
অনেক সময় নগদে কিনলে কোম্পানি ডিসকাউন্ট বা ফ্রি রেজিস্ট্রেশন/ইনস্যুরেন্স অফার করে।
৪. ডকুমেন্টেশন ঝামেলা কম
কিস্তির তুলনায় নগদে বাইক কেনার সময় কাগজপত্র, আইডেন্টিটি ভেরিফিকেশন, ইনকাম প্রুফ এসব কম লাগে।

কিস্তিতে মোটরসাইকেল কেনার সুবিধা
১. হাতের সামান্য টাকা থাকলেও বাইক কেনা যায়
পুরো টাকা একসঙ্গে না থাকলেও অ্যাডভান্স ২০–৩০% দিয়ে বাইক কিনে ফেলা সম্ভব।
২. জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত বাইক পাওয়া যায়
অনেকেরই কাজ বা পেশার প্রয়োজনে বাইক দরকার হয়, তখন কিস্তিই হয় ভরসা।
৩. নগদ টাকা অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে রাখা যায়
সব টাকা বাইকে খরচ না করে সেটা অন্য জরুরি বা আয়বর্ধক খাতে ব্যবহার করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের আয়ু বাড়ানোর ১০টি টিপস
৪. কিছু কোম্পানির ইন্টারেস্ট ফ্রি বা ০% EMI অফার থাকে
বিশেষ করে ফাইন্যান্সিং পার্টনার ব্যাংক বা NBFC-এর মাধ্যমে ৬–১২ মাসের জন্য ইন্টারেস্ট ছাড়া কিস্তির সুবিধা পাওয়া যায়।
কোনটি আপনার জন্য ভালো?
নগদে কিনুন যদি:
আপনার হাতে পর্যাপ্ত টাকা থাকে
সুদের বাড়তি খরচ এড়াতে চান
ডিসকাউন্ট বা অফার নিতে চান
কিস্তিতে কিনুন যদি:
বাজেট সীমিত, তবুও দ্রুত বাইকের দরকার
মাসিক আয়ের ভরসায় টাকা শোধ দিতে পারবেন
০% ইএমআই অফার পেয়ে যান
নগদে বাইক কিনলে আপনি খরচ সাশ্রয় করবেন। তবে কিস্তির মাধ্যমে বাইক কিনলে আপনি তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে দ্রুত সমাধান পাবেন, যদিও সেটি তুলনামূলক ব্যয়বহুল। তাই সিদ্ধান্ত নিন আপনার প্রয়োজন, সামর্থ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ভিত্তিতে।
এজেড

