ইলন মাস্কের টেসলা গাড়ির নামডাক বিশ্বজুড়ে। ইউরোপ, আমেরিকা মহাদেশ ছাড়িয়ে এই গাড়ি এখন পৌঁছে গেল ভারত মহাদেশে। ১৫ জুলাই দেশটির মুম্বাইয়ের বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সে টেসলা তাদের প্রথম এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার উদ্বোধন করতে যাচ্ছে। আর এর মাধ্যমে ভারতে পা রাখতে যাচ্ছে টেসলা।
এই এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারের মাধ্যমে টেসলা ভারতীয় বাজারে তাদের প্রবেশকে চিহ্নিত করবে এবং এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গাড়ির বাজারে তাদের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ১০০, ২০০, ৫০০ টাকার পেট্রোল কেন ভরবেন না জানুন
এমন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে টেসলার সিইও ইলন মাস্কের উপস্থিতির সম্ভাবনা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও কোম্পানির তরফে এ বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি, তবে ভারতের প্রথম এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারের উদ্বোধনে তার অংশগ্রহণ বিস্ময়কর হবে না।
পরবর্তী গন্তব্য কোথায়?
মুম্বাইয়ের পর দিল্লিতে টেসলার দ্বিতীয় এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। টেসলা ইতিমধ্যে তাদের মডেল ওয়াই গাড়ি চীনের সাংহাই ফ্যাক্টরি থেকে আমদানি করা শুরু করেছে এবং কয়েকটি গাড়ি ইতিমধ্যেই মুম্বাই বন্দরে পৌঁছে গিয়েছে। এর মাধ্যমে টেসলার ভারতের রিটেল অপারেশনের সূচনা করছে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন

টেসলার জনপ্রিয় বৈদ্যুতিক এসইউভি মডেল ওয়াই গাড়িগুলোকে ইতিমধ্যেই কর্ণাটকের নম্বরপ্লে সহ ভারতীয় রাস্তায় টেস্ট ড্রাইভে দেখা গেছে। ধনকুবেরের সংস্থা ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরুতে একটি অফিস খুলেছে এবং গুরগাঁও ও কর্ণাটকে গুদামঘর খোঁজার কাজ চলছে।
মডেল ওয়াই গাড়ির ফিচার ও দাম
মডেল ওয়াই আন্তর্জাতিক মার্কেটে টেসলার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ইলেকট্রিক গাড়ি। এই মডেলটি যুক্তরাষ্ট্রে ৪৪ হাজার ৯৯০ ডলারে বিক্রি হয়। তবে ভারতের মতো মূল্যে সংবেদনশীল বাজারে টেসলা-কে আকর্ষণীয় দামে গাড়ি নিয়ে আসতে হবে। গাড়িটিতে রয়েছে অল-হুইল ড্রাইভ সেটআপ ও লং-রেঞ্জ ব্যাটারি, যার ইপিএ অনুমোদিত রেঞ্জ ৫২৬ কিমি এবং সর্বোচ্চ গতি ২০০ কিমি/ঘণ্টা। ০ থেকে ৯৬ কিমি/ঘণ্টায় পৌঁছাতে এটি সময় নেয় মাত্র ৪.৬ সেকেন্ড।

মডেল ওয়াতেই-তে থাকছে ইলেকট্রিকালি অ্যাডজাস্টেবল হিটিং ও কুলিং সিট, ১৫-স্পিকার প্রিমিয়াম অডিও সিস্টেম, হ্যান্ডস-ফ্রি টেলগেট এবং আটটি এক্সটার্নাল ক্যামেরার সাহায্যে তৈরি অ্যাডভান্সড ড্রাইভার অ্যাসিস্টেন্স সিস্টেম। এতে থাকছে অটোমেটিক এমার্জেন্সি ব্রেকিং, ফরওয়ার্ড কলিশন অ্যালার্ট, ব্লাইন্ড স্পট মনিটরিং এবং লেন কিপিং অ্যাসিস্ট-এর মতো নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য।
এজেড

