মোটরসাইকেলে চলন্ত অবস্থায় হঠাৎ করে জোরে বা ‘হার্ড ব্রেক’ করলে অনেক সময় মারাত্মক বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। যদিও জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত থামার জন্য হার্ড ব্রেক প্রয়োজন হতে পারে, তবে এটি সঠিকভাবে না করলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। আজকের প্রতিবেদনে জানবো হার্ড ব্রেকের প্রভাব ও করণীয়।
হার্ড ব্রেক কী?
‘হার্ড ব্রেক’ মানে হচ্ছে হঠাৎ করে খুব জোরে ব্রেক কষে বাইক থামানো। সাধারণত উচ্চ গতিতে চলন্ত বাইকে এ ধরনের ব্রেক প্রয়োগ করলে তা নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে।

হার্ড ব্রেক করলে কী হতে পারে?
১. চাকা লক হয়ে যেতে পারে
চাকা লক হয়ে গেলে বাইক স্কিড করে, অর্থাৎ পিছলে যায়। এতে চালক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে এবং বাইক উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২. রোড গ্রিপ হারিয়ে ফেলে
হার্ড ব্রেকের সময় টায়ার রাস্তায় ঠিকভাবে ধরতে পারে না। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে বা ধুলাবালি রাস্তায় এ সমস্যা বেশি হয়।

৩. ব্রেক শু ও ডিস্ক ক্ষয় হয়
প্রতিনিয়ত হার্ড ব্রেক দিলে বাইকের ব্রেক প্যাড বা ডিস্ক দ্রুত ক্ষয় হয়, ফলে কম সময়ে ব্রেক সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়ে।
৪. সাসপেনশন ও টায়ারের ওপর চাপ পড়ে
জোরে ব্রেক করলে সামনের সাসপেনশনে অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং টায়ার দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে দীর্ঘমেয়াদে বাইকের স্থায়িত্ব কমে যায়।
৫. ABS না থাকলে ঝুঁকি বেশি
অনেক বাইকে এখন অ্যাডভান্সড ব্রেকিং সিস্টেম (ABS) দেওয়া থাকে, যা হার্ড ব্রেকের সময়ও চাকাকে লক হতে দেয় না। কিন্তু যেসব বাইকে ABS নেই, সেগুলোতে হার্ড ব্রেক আরও বিপজ্জনক।

কীভাবে নিরাপদে ব্রেক করবেন?
ধীরে ধীরে এবং দুটো ব্রেক (সামনে ও পেছনে) একসঙ্গে ব্যবহার করুন।
অপ্রয়োজনীয়ভাবে কখনো হার্ড ব্রেক দেবেন না।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনে কয়টি সিলিন্ডার থাকে?
সামনে বাধা দেখতে পেলে আগেভাগেই গতি কমিয়ে ফেলুন।
বৃষ্টির দিনে বা ভেজা রাস্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখুন।
ABS যুক্ত বাইক ব্যবহার করতে পারলে ভালো।
মোটরসাইকেলে হার্ড ব্রেক প্রয়োগ করা প্রয়োজন হতে পারে, তবে তা যেন নিরাপদভাবে হয়, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। না হলে ছোট একটি ভুল থেকে হতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। সচেতন চালকই নিরাপদ চালক।
এজেড

