অনেক সময়ই ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল দীর্ঘদিন চালানো হয় না, হতে পারে ভ্রমণ, ব্যস্ততা, অসুস্থতা বা কোনো ব্যক্তিগত কারণ। কিন্তু জানেন কি, একটানা বেশি দিন মোটরসাইকেল না চালালে এর ইঞ্জিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে? তাই জানিয়ে রাখি—মোটরসাইকেল শুধু কেনার জিনিস নয়, নিয়মিত যত্ন ও ব্যবহারেও সচেতন হতে হয়।
কতদিন ব্যবহার না করলে সমস্যা হতে পারে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত মোটরসাইকেল একটানা বন্ধ রাখা হয়, তবে তেমন কোনো গুরুতর ক্ষতির আশঙ্কা নেই—শর্ত একটাই, আগে থেকে কিছু প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে কি না। তবে ১ মাসের বেশি সময় যদি একেবারেই চালানো না হয়, তাহলে ইঞ্জিনসহ গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোতে সমস্যা শুরু হয়।
কী কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?
১. ইঞ্জিন অয়েল জমে বা অকেজো হয়ে যায়
দীর্ঘদিন স্টার্ট না দিলে ইঞ্জিন অয়েল নিচে বসে যায় এবং এর কার্যকারিতা কমে যায়। এতে পরবর্তীতে স্টার্ট দিলে ইঞ্জিনে ঘর্ষণ বেড়ে গিয়ে ক্ষতি হতে পারে।
বিজ্ঞাপন

২. ব্যাটারি চার্জ ফুরিয়ে যায়
চালানো না হলে ব্যাটারি নিজে থেকেই ড্রেন হয়ে যায়। এক মাস পর চেষ্টা করলেও হয়তো স্টার্টই নেবে না।
৩. ফুয়েল সিস্টেমে সমস্যা
ট্যাংকে থাকা পেট্রোল পুরোনো হয়ে বাষ্প হয়ে যায়, এমনকি কার্বুরেটরে আটকে গিয়ে ইঞ্জিন স্টার্ট নিতেও বাধা দেয়।
৪. ইঞ্জিনে মরিচা ধরতে পারে
বিশেষ করে বর্ষাকালে বা আর্দ্র আবহাওয়ায় বাইক চালানো না হলে ইঞ্জিন ও এক্সজস্টের ধাতব অংশে মরিচা পড়ে।
৫. চাকা ও টায়ারে চাপ পড়ে
এক জায়গায় বেশি দিন দাঁড়িয়ে থাকলে টায়ারে ফ্ল্যাট স্পট তৈরি হয়, যার ফলে পরবর্তীতে চালানোর সময় কম্পন বা ভারসাম্যের সমস্যা হয়।

দীর্ঘদিন না চালালে যা করবেন:
প্রতি ৭-১০ দিন অন্তর অন্তত একবার স্টার্ট দিন ও ৫-১০ মিনিট চালান
ব্যাটারি খুলে রাখুন বা চার্জ ধরে রাখতে ব্যাটারি মেইনটেনার ব্যবহার করুন
টায়ারে যথেষ্ট বাতাস আছে কি না নিশ্চিত করুন
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলের হর্ন, হেডলাইট ও ব্যাটারির যত্ন নেওয়ার উপায়
বাইক ছায়াযুক্ত জায়গায় বা কাভার দিয়ে রাখুন
প্রয়োজনে ইঞ্জিন অয়েল ও ফুয়েল চেঞ্জ করুন ব্যবহারের আগে
মোটরসাইকেল চালানো বন্ধ থাকলেও যত্ন বন্ধ রাখা চলবে না। নিয়মিত স্টার্ট না দিলে, একসময় ইঞ্জিনই স্টার্ট নেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে! তাই যতদূর সম্ভব, বাইক চালু রাখুন।
এজেড

