দূরে কোথাও বাইক নিয়ে লং ট্রিপে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? পাহাড়, সমুদ্র কিংবা প্রাকৃতিক রোড রাইড—সবকিছুই যতটা রোমাঞ্চকর, ততটাই প্রস্তুতির বিষয়। আর এই প্রস্তুতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো জ্বালানি বা পেট্রোল।
অনেকেই ভাবেন, ‘ট্যাংক ফুল করে নিলেই তো হলো!’ কিন্তু বাস্তবতা একটু ভিন্ন। জ্বালানি বেশি থাকলেও ওজন বেড়ে যায়, আবার কম থাকলে মাঝপথে সমস্যা হতে পারে। তাহলে আদর্শ পরিমাণটা কত?
বিজ্ঞাপন
জ্বালানি কতটুকু ভরবেন?
আপনার ট্রিপের দূরত্ব, রুটে ফুয়েল স্টেশনের সংখ্যা এবং বাইকের মাইলেজের ওপর নির্ভর করে কতটুকু জ্বালানি প্রয়োজন হবে, তা নির্ধারণ করতে হবে।

নিয়ম অনুসারে যা করবেন:
ট্যাংক ৮০–৯০% পর্যন্ত পূর্ণ করুন।
পুরোপুরি ফুল করলে বাইক ঝাঁকুনিতে পেট্রোল ওভারফ্লো করতে পারে, যা বিপজ্জনক।
বাইক প্রতি কিলোমিটারে কত মাইলেজ দিচ্ছে তা জানুন।
উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার বাইক প্রতি লিটারে ৪০ কিমি মাইলেজ দেয় এবং আপনি ২০০ কিমি ট্রিপে যাচ্ছেন, তাহলে কমপক্ষে ৫ লিটার পেট্রোল দরকার। সঙ্গে অতিরিক্ত ১–১.৫ লিটার রাখলে ভালো।
রুটে পেট্রোল পাম্প আছে কি না, আগে যাচাই করুন।
যদি নির্জন বা পাহাড়ি এলাকায় যান, তাহলে ১ লিটারের অতিরিক্ত পেট্রোল আলাদা বোতলে সঙ্গে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।

অতিরিক্ত জ্বালানি বহনের সতর্কতা
পেট্রোল বহন করলে অবশ্যই বিশেষ নিরাপদ জ্বালানি ক্যানে রাখুন
কাচ বা প্লাস্টিক বোতলে পেট্রোল রাখা বিপজ্জনক
গরম আবহাওয়ায় অতিরিক্ত জ্বালানি সহজেই বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে

অন্যান্য প্রস্তুতি
জ্বালানির পাশাপাশি লং রাইডে যাওয়ার আগে আরও কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি-
ইঞ্জিন অয়েল চেক করুন
চাকা ও ব্রেক সিস্টেম পরখ করুন
চেইন লুব্রিকেটেড আছে কি না দেখুন
লাইট, হর্ন ও সিগন্যাল ঠিক আছে কি না নিশ্চিত করুন
আরও পড়ুন: মাইলেজ বাড়াতে চান? অনুসরণ করুন এই ৭টি অভ্যাস
লং রাইডে জ্বালানি ভরার ক্ষেত্রে মূল মন্ত্র হচ্ছে—পরিকল্পিতভাবে পরিমিত পরিমাণে পেট্রোল নেওয়া। একদিকে যেন অতিরিক্ত ওজন না হয়, অন্যদিকে যেন রাস্তার মাঝপথে জ্বালানি শেষ হয়ে না যায়। সঠিক পরিমাণ ও সঠিক প্রস্তুতিই একটি স্মুথ ও উপভোগ্য বাইক রাইড নিশ্চিত করতে পারে।
এজেড

