মোটরসাইকেল আমাদের নিত্যদিনের চলাফেরার একটি অপরিহার্য বাহন। তবে অনেক সময় দেখা যায়, মোটরসাইকেলের ব্যাটারি হঠাৎ করে চার্জশূন্য হয়ে যাচ্ছে কিংবা ঠিকভাবে কাজ করছে না। ফলে অনেকেই জানতে চান— আসলে মোটরসাইকেলের ব্যাটারি কীভাবে চার্জ হয়?
আধুনিক মোটরসাইকেলে আলাদা করে চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। ইঞ্জিন চালু থাকলেই ব্যাটারি নিজে থেকেই চার্জ হতে থাকে। তবে এই চার্জিংয়ের পেছনে কাজ করে একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থা, যা অনেকেই জানেন না।
বিজ্ঞাপন
চার্জিং সিস্টেমের মূল উপাদান
মোটরসাইকেলের ব্যাটারি চার্জ করার জন্য মূলত তিনটি উপাদান একসঙ্গে কাজ করে:
স্টেটর (Stator)
এটি এক ধরনের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী যন্ত্রাংশ, যা ইঞ্জিনের ঘূর্ণনশীল শক্তিকে ব্যবহার করে এসি (AC) বিদ্যুৎ তৈরি করে।
বিজ্ঞাপন

রেকটিফায়ার ও রেগুলেটর (Rectifier & Regulator)
এই যন্ত্র এসি বিদ্যুৎকে ডিসি (DC) বিদ্যুতে রূপান্তর করে এবং ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ করে ব্যাটারিতে পাঠায়। এটি ব্যাটারিকে অতিরিক্ত ভোল্টেজ থেকে রক্ষা করে।
ব্যাটারি (Battery)
উৎপন্ন ডিসি বিদ্যুৎ ব্যাটারিতে সঞ্চিত হয়, যা পরবর্তীতে হেডলাইট, হর্ন, ইনডিকেটর, ডিসপ্লে প্যানেল ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্র চালাতে ব্যবহার হয়।
ইঞ্জিন চালু থাকলেই চার্জ হয় ব্যাটারি
যখন মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন চালু থাকে, তখন স্টেটর ঘুরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এই বিদ্যুৎ রেকটিফায়ারের মাধ্যমে ব্যাটারিতে পৌঁছায়। ফলে বাইক চালানোর সময় নিজেই ব্যাটারি চার্জ হতে থাকে।
অতিরিক্ত কিছু বিষয়
দীর্ঘ সময় বাইক না চালালে ব্যাটারি ডিসচার্জ হয়ে যেতে পারে।
ব্যাটারির আয়ু কমে গেলে স্বাভাবিক চার্জিং প্রক্রিয়া কাজ নাও করতে পারে।
অতিরিক্ত এক্সেসরিজ বা পরিবর্তিত হেডলাইট ব্যবহার করলে ব্যাটারির ওপর চাপ পড়ে।
মোটরসাইকেলের ব্যাটারি চার্জ হয় ইঞ্জিন চালনার সময়, একটি পূর্ণাঙ্গ চৌম্বকীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে। বাইকারদের উচিত নিয়মিত তাদের বাইকের ব্যাটারি ও চার্জিং সিস্টেম ঠিকঠাক আছে কিনা তা পরীক্ষা করা, যাতে যাত্রাপথে কোনো বিড়ম্বনায় না পড়তে হয়।
এজেড

