শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

এই গরমে মোটরসাইকেল ভ্রমণে গেলে এই ৫ টিপস মানুন

অটোমোবাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ মে ২০২৫, ১০:০৩ এএম

শেয়ার করুন:

MOTORCYCLE TOUR

শীতকাল মোটরসাইকেল ভ্রমণের জন্য আদর্শ হলেও কিছু মানুষ গরমকালেও বের হন। এই সময়ে যারা মোটরসাইকেল চালান তাদের অবশ্যই নিজেদের যত্ন নিতে হবে, কারণ প্রখর রোদে বাইক চালানো সত্যিই চ্যালেঞ্জিং। এই সময় শরীর পানিশূন্য হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় গরমের এই সময়।

এই ধরনের পরিস্থিতিতে, চরম আবহাওয়ার কবল থেকে বাঁচতে নির্দিষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।  এই প্রতিবেদনে এমন পাঁচটি টিপস রয়েছে যা এমন চরম পরিস্থিতিতেও নিরাপদে রাইড করতে সাহায্য করবে।


বিজ্ঞাপন


১. হাইড্রেটেড থাকা

পানি মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। শরীর যখন বাহ্যিক তাপের সংস্পর্শে আসে, তখন শীতল হওয়ার জন্য ঘাম ছাড়ে, এর ফলে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। ডিহাইড্রেশন মাথাব্যথা, অধৈর্যতা এবং ঘুমের কারণ হতে পারে। তাই নিয়মিত হাইড্রেটেড থাকা উচিত। এই সময় প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। নিয়মিত বিরতিতে পানি 
পান খুব জরুরি।

tour2

এই অবস্থায় চালকরা হাইড্রেশন প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এই হাইড্রেশন প্যাকগুলোতে পানির অ্যাক্সেস থাকায় পুরো সময় হাইড্রেটেড থাকা যায়। এই সময় শুধুমাত্র পানি এবং ওআরএস বা ইলেক্ট্রোলাইট খাওয়া উচিত। চা, কফি, কোল্ড ড্রিঙ্কস বা এনার্জি ড্রিঙ্কসের মতো পানীয় গ্রহণ করা এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এগুলো শরীরকে আরও ডিহাইড্রেট করে।


বিজ্ঞাপন


২. বায়ুচলাচলযুক্ত পোশাক পরিধান

গরমের পোশাকের ক্ষেত্রে বায়ুচলাচল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আরামের ক্ষেত্রে বেস লেয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। এই স্তরটি আর্দ্রতা থেকে বাঁচায় এবং শরীরকে শীতল এবং শুষ্ক রাখে। নাইলন এবং পলিয়েস্টার আর্দ্রতা শোষণ করে।

শুধু গ্রীষ্মকালেই নয় হেলমেট, রাইডিং জ্যাকেট এবং প্যান্ট, গ্লাভস এবং বুট সব সময়ই পরা উচিত। সূর্য থেকে আমাদের চোখ বাঁচাতে, হেলমেটের জন্য একটি টিন্টেড ভাইজর বেছে নেওয়া যেতে পারে। এই ভাইসরগুলো সূর্যের আলো এবং ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করবে। এই ধরনের ভিসার ব্যবহার চোখের চাপ কমাতে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য বাইক চালাতে সাহায্য করে।

inner_tour

৩. টায়ারের অবস্থা পরীক্ষা করে নেওয়া

রাস্তার তীব্র উত্তাপের কারণে যাতে টায়ার ব্লাস্ট না হয় বা মোটরসাইকেলটি স্কিড না হয় তা লক্ষ্য রাখতে হবে। তাপমাত্রায় প্রতি ১০ শতাংশ পরিবর্তনে টায়ারে ১.৪পিএসআই প্রেসার বাড়ে।

তাপের কারণে টায়ার ফেটে যাওয়া প্রতিরোধ করার জন্য, টায়ারের বাতাসের চাপের উপর নজর রাখা উচিত, জীর্ণ হয়ে যাওয়া টায়ারকে প্রতিস্থাপন করা উচিত এবং টায়ার অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হলে তা ঠান্ডা করার জন্য বিরতি নেওয়া উচিত। টায়ারের লোড এবং গাড়ির গতির রেটিংও মেনে চলতে হবে।

আরও পড়ুন: গাড়ির এসি বন্ধ করার সঠিক নিয়ম জানেন না অনেকেই

৪. রাস্তায় বিটুমিন বিষয়ে সতর্ক থাকা

ক্রমাগত তাপের সংস্পর্শে এলে রাস্তার বিটুমিনের স্তর নরম হয়ে যায়। বিটুমিনের এই নরম হওয়ার ফলে রাস্তা অসম এবং পিচ্ছিল হয়ে যেতে পারে, যা বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করে। রাস্তায় ভারী যানবাহন থাকার বিষয়টিও এই নরম হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং রাস্তার মজবুতির দিকে নজর রাখা উচিত।

৫. উপযুক্ত সময়ে বিরতি নেওয়া

রাইডে বের হওয়ার আগে পরিকল্পনা করে নেওয়া প্রয়োজন। যখন তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকে তখন রাইড শুরু করার পরামর্শ দেওয়া হয়। উচ্চ তাপমাত্রায় রাইডিং এড়ানো উচিত কারণ ক্রমাগত গ্রীষ্মের তাপের সঙ্গে লড়াই করতে থাকলে আমরা ক্লান্ত হয়ে যেতে পারি। এছাড়াও ক্লান্তি এড়াতে নিয়মিত বিরতি নেওয়া উচিত।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর