গাড়ি বা বাইক চালানোর সময় কীভাবে ব্রেক এবং ক্লাচ ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন পরামর্শ দেন। আর তার ফলেই তৈরি হয় বিভ্রান্তি। এই বিভ্রান্তি নিয়ে গাড়ি বা বাইক চালালেই বিপদ। তবে এবার এই বিভ্রান্তি দূর করা যাক। ব্রেক ব্য়বহার করার সময় ক্লাচ ব্যবহার করা উচিত কি-না তা জেনে নেওয়া যাক।
গাড়িতে যে তিনটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ তা হল এক্সিলারেটর, যা গাড়ির স্পিড বাড়ায়। ব্রেক, যা গাড়ি থামাতে ব্যবহার করা হয়। ক্লাচ, যা এক্সিলারেটর ও ব্রেক এর মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
বিজ্ঞাপন

গাড়ির স্পিড বেশি থাকলে, ক্লাচ চেপে কখনই ব্রেক দেবেন না। একান্তই যদি গাড়ি থামানোর প্রয়েজন হয়, তবে ক্লাচ এবং ব্রেক একসঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন। ক্লাচ এবং ব্রেক একসঙ্গে সাধারণত জরুরী পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হয়।

বড় কোনও গাড়ির দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে ক্লাচ এবং ব্রেক একসঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন। আর গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বাঁচাবে। তাই কোন সময় কোনটা ব্য়বহার করা উচিত সেটি জানা প্রয়োজন।
বিজ্ঞাপন
গাড়ি হাই স্পিডে থাকলে প্রথমেই ব্রেক টিপবেন না। গাড়ি থামানোর আগে গাড়ির স্পিড অবশ্য়ই কমিয়ে নিন। সর্বনিম্ন গিয়ারে গাড়ি এনে আপনাকে ক্লাচ টিপতে হবে। আর আপনি যদি এটি না করেন, তাহলে আপনার গাড়ি বা বাইক আচমকা দুর্ঘটনার মুখে পরতে পারে।
আরও পড়ুন: গাড়ি-বাইক থামাতে আগে ক্লাচ নাকি ব্রেক চাপবেন?
আপনি যদি মনে করেন যে গাড়ি বা বাইকে ব্রেক চাপা দরকার তবে শুধু ব্রেক চাপুন। তার জন্য ক্লাচ ব্যবহার করার দরকার নেই। আপনি যদি রাস্তায় কোনও বাম্পার বা খানা-খন্দ দেখতে পান। আর আপনার গাড়ি বা বাইকের স্পিড কমানোর প্রয়োজন হয় তবে আগে থেকেই বাইকের স্পিড কমানোর জন্য় ব্রেক ব্যবহার করতে পারেন।
এজেড

