মোটরসাইকেলের বয়স বাড়লে মাইলেজ কমে যায়। একথা প্রায় সবাই জানেন। এর মূল কারণ যন্ত্রপাতির আয়ুষ্কাল কমে যাওয়া। এছাড়াও দীর্ঘদিন মোটরবাইক সার্ভিসিং না করালে মাইলেজ কমে যায়।
মোটরসাইকেলের মাইলেজ কমলে খরচ বাড়ে। স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি তেল খায় ইঞ্জিন। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই খরচ অনেক বেড়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
পরিস্থিতি এমন হতে পারে যাতে মনে হতে পারে যেন কোনও মোটরবাইক নয়, গাড়িই চালাচ্ছেন। প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকার জ্বালানিরতে হতে পারে।
আরও পড়ুন: রয়েল এনফিল্ড নতুন ক্রুজার মোটরসাইকেল আনল
এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়ে থাকলে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব সমাধান খুঁজতে হবে। কিন্তু কীভাবে এই সমস্যার সমাধান হবে, তা অনেকেই বুঝতে পারেন না।
কিছু সহজ কৌশলে একদিনের মধ্যেই নিজের মোটরবাইকের মাইলেজ বাড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে। তবে তার জন্য অবশ্যই একজন মোটরবাইক মেকানিকের সাহায্য নিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
কীভাবে করা যাবে সমাধান, নজর দিতে হবে কোন কোন অংশে দেখে নেওয়া যাক এক নজরে—
অয়েল ফিল্টার
বেশিরভাগ মোটরবাইক চালকই অয়েল ফিল্টার পরিবর্তন করার দিকে মনোযোগী হন না। দেখা যায়, বহু বছর ধরে পুরনো ফিল্টারেই মোটরবাইক চালানো হচ্ছে। এর ফলে মোটরবাইকের মাইলেজ কমতে থাকে।
যদি কেউ তার মোটরবাইকের মাইলেজ বাড়তে চান তাহলে অবশ্যই তেল ফিল্টারটি পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। সেজন্য মেকানিকের সাহায্য নিতে হবে।

স্পার্ক প্লাগ
দীর্ঘ সময় স্পার্ক প্লাগ পরিবর্তন করা না হলে, তাতে কার্বন জমে যেতে পারে। এই কারণে, ইঞ্জিনের ভিতরে ইগনিশন সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইগনিশনের অবস্থার অবনতির কারণে, মোটরবাইক চালানোর সময় বারবার তা বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। এর ফলে মাইলেজ কমে যায়। এমন সমস্যায় পড়লে অবশ্যই স্পার্ক প্লাগটি বদলে ফেলার কথা ভাবতে হবে।
এয়ার ফিল্টার
এয়ার ফিল্টার নোংরা হয়ে গেলেও মোটরবাইকের মাইলেজ কমতে শুরু করতে পারে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে ইঞ্জিনে পরিষ্কার বাতাস ঠিকমতো পৌঁছায় না। তার ফলে পেট্রোল ঠিক মতো জ্বলে না এবং মাইলেজ কমতে শুরু করে। খুব কম খরচে একজন মেকানিকের মাধ্যমে এয়ার ফিল্টার পরিবর্তন করা যায়।
ইঞ্জিনের তেল
সাধারণত প্রতি ২০০০ কিলোমিটার চলার পর মোটরবাইকের ইঞ্জিন তেল পরিবর্তন করা প্রয়োজন। এতে ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা স্বাভাবিক থাকবে। মাইলেজও ভালো পাওয়া যাবে। আসলে, মোটরবাইক ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে তার ইঞ্জিন তেল নষ্ট হয়ে যায়। তাই নিয়মিত তা বদলানো প্রয়োজন।
এজেড

