বাইকের মাইলেজ কমে গেলে অনেকেই দুশ্চিন্তায় ভোগেন। বিশেষ করে যারা নিয়মিত বাইক চালান। কিন্তু এটা চিন্তার কোনও বিষয়ই নয়। ছোটখাটো কিছু অভ্যাস বদলালেই মাইলেজ একধাক্কায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
টু হুইলার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে শুধু মাইলেজ বাড়বে তাই নয়, অনেক টাকাও বেঁচে যাবে। পরিবেশ দূষণও কম হবে। কী করতে হবে? এখানে রইল কিছু সহজ টিপস। এগুলো মেনে চললে বাইকের মাইলেজ উল্লেখযোগ্যহারে বাড়তে পারে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: নতুন মোটরসাইকেল কিনেই কেন হাইস্পিডে চালানো যায় না
বাইক চালানোর পদ্ধতিতে বদল:
ধীরে ধীরে অ্যাক্সিলারেট করতে হবে – বাইকের অ্যাক্সিলারেটর সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। হঠাত চাপ দিলে জ্বালানি খরচ বেড়ে যায়। তাই অ্যাক্সিলারেটর ব্যবহার করতে হয় ধীরে ধীরে।
হঠাৎ ব্রেক কষা চলবে না – আচমকা ব্রেক কষলে বাইক থামানোর জন্য ইঞ্জিনকে অনেক বেশি খাটতে হয়। জ্বালানি খরচও বেড়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
নির্দিষ্ট গতিতে চালালেই লাভ – যতটা সম্ভব একই গতিতে বাইক চালানোর পরামর্শ দেন টু হুইলার বিশেষজ্ঞরা। বারবার গতি পরিবর্তনের ফলে জ্বালানি খরচ অনেক বেড়ে যায়।
হাই গিয়ারে কম আরপিএমে – হাই গিয়ারে থাকাকালীন কম আরপিএমে বাইক চালালে ইঞ্জিনের উপর চাপ কম পড়ে। ফলে জ্বালানি খরচও কম হয়।

নিয়মিত দেখভাল:
টায়ারের সঠিক চাপ – টায়ারে বায়ুর চাপ নির্দিষ্ট মাত্রায় রাখা উচিত। কম বা বেশি হলে মাইলেজ কমে যেতে পারে।
সময়মতো ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন – পুরনো ইঞ্জিন অয়েল না বদলালে গাড়ির পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়ে।
এয়ার ফিল্টার পরিস্কার – এয়ার ফিল্টারে নোংরা থাকলে ইঞ্জিনে পর্যাপ্ত বাতাস পৌঁছতে পারে না। ফলে জ্বালানি খরচ বেড়ে যায়।
স্পার্ক প্লাগ পরিবর্তন – খারাপ স্পার্ক প্লাগ থাকলে জ্বালানি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। ফলে মাইলেজ কমে যায়।
অন্যান্য টিপস:
বাইকে অপ্রয়োজনীয় সামগ্রী চাপানো উচিত নয় – অতিরিক্ত ওজন চাপালে ইঞ্জিনে চাপ পড়ে। মাইলেজ কমে যায়।
শহরে ধীরে চালানো উচিত – ট্র্যাফিকের কারণে শহরে বারবার থামতে হয়। তাই কম গতিতে চালানো উচিত।
ইঞ্জিন ঠান্ডা করার জন্য পর্যাপ্ত সময় – ইঞ্জিন গরম হয়ে গেলে বাইক বন্ধ করে দেওয়া উচিত। ঠান্ডা হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।
টু হুইলার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে বাইক চালালে মাইলেজ ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
এজেড

