বাজারে রয়েছে হরেক রকমের মোটরসাইকেল। এসব বাইক থেকে নিজের জন্য সেরাটি বেছে নেওয়া অনেকটাই কঠিন। তবে আপনার যদি বাজেট কিছু কম থাকে তবে নিতে পারেন কমিউটার বাইক। আপনি যদি শহরের রাস্তায় চলাচল করেন, তবে ১০০ থেকে ১২৫ সিসির বাইক কিনুন। এসব বাইকের যেমন মাইলেজ বেশি তেমনি দামও কম। এমনই কয়েকটি মডেল সম্পর্কে জানুন।
১. বাজাজ পালসার এন১২৫
বিজ্ঞাপন
তালিকার প্রথমেই রয়েছে বাজাজ বাজাজ পালসার এন১২৫। বাজেটের মধ্যে সবচেয়ে স্টাইলিশ বাইকগুলোর এটি অন্যতম। এটি তার বড় ভাই এন২৫০-এর মতোই আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং পেশীবহুল লুক নিয়ে এসেছে। এই বাইকটিতে ১২৫ সিসির ইঞ্জিন রয়েছে যা প্রায় ১২ বিএইচপি এবং ১১ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। স্ট্রিটফাইটারের লুক এবং পারফরম্যান্স বজায় রেখেই এটি তৈরি।
২. হিরো এক্সট্রিম ১২৫ আর
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হিরো এক্সট্রিম ১২৫ আর মডেল। পালসার এন১২৫ এবং টিভিএস রেইডারের মতো এতেও রয়েছে অনন্য ডিজাইন। এবিএস ভার্সনেও এটি কেনা যাবে। এতে ১২৫ সিসির ফুয়েল ইনজেকশন ইঞ্জিন রয়েছে যা ১১.৪ বিএইচপি এবং ১০.৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। শীর্ষ ভ্যারিয়েন্টে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস এবং উভয় মডেলে স্ট্যান্ডার্ড হ্যাজার্ড ল্যাম্প রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ইয়ামাহার এই বাইক দেখলে যে কারো চোখ জুড়াবে
৩. টিভিএস রেইডার
টিভিএস রেইডার মোট ছয়টি ভিন্ন ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যায়। অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীর মতো এটিতেও ১২৫ সিসির ইঞ্জিনে ছোটে। যা ১১.২ বিএইচপি পাওয়ার এবং ১১.৭৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। আইজিও অ্যাসিস্ট প্রযুক্তি এটিকে আরও উন্নত করে তুলেছে।
৪. হোন্ডা এসপি ১২৫
হোন্ডা এসপি ১২৫ হল সবচেয়ে সাশ্রয়ী বাইকগুলোর মধ্যে একটি। এতে ১২৫ সিসির ইঞ্জিন রয়েছে। যা ১০.৭ বিএইচপি এবং ১০.৯ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। টোনড-ডাউন কমিউটার লুক পছন্দ করেন এমন ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত এটি।
আরও পড়ুন: রয়েল এনফিল্ড গেরিলা মোটরসাইকেল এলো আকর্ষণীয় রঙে
৫. বাজাজ ফ্রিডম
বিশ্বের প্রথম সিএনজি বাইক বাজাজ ফ্রিডম। এটি পূর্ণ সিএনজি এবং পেট্রোল ট্যাঙ্কে প্রায় ৩০০ কিমি রেঞ্জ প্রদান করে। এর সিএনজি ট্যাঙ্কে ২ কেজি এবং পেট্রোল ট্যাঙ্কে ২ লিটার পেট্রোল রাখা যায়। এতে ১২৫ সিসির ইঞ্জিন রয়েছে যা ৯.৩ বিএইচপি এবং ৯.৭ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। এর সিএনজি প্রযুক্তির কারণে এটি চালানোর খরচ সবচেয়ে কম বলে আশা করা হচ্ছে।
এজেড