সকালে বাইক কিংবা স্কুটারে স্টার্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু ভুল করেন অনেকেই। যার জেরে সময়ের আগেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে ইঞ্জিন। দেখে নেওয়া যাক, সকালে বাইক স্টার্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা কী কী ভুল করে থাকেন।
স্টার্ট দেওয়ার পরেই বাইক চালানো
বিজ্ঞাপন
দেখা যায় যে, বেশিরভাগ মানুষই এই ভুল করে থাকেন। আসলে তারা সকালে নিজেদের বাইক স্টার্ট দেন। আসলে সারা রাত বাইক নিষ্ক্রিয় থাকলে ইঞ্জিনের তেল ইঞ্জিনের ভিতরের একটা জায়গাতেই জমা হয়। আর এটা ইঞ্জিনের বিভিন্ন অংশের পিচ্ছিল ভাব কমিয়ে দেয়। এহেন অবস্থায় বাইক স্টার্ট দিয়ে তা ছোটানো হলে যন্ত্রাংশ নষ্ট হতে থাকে।
অন্যদিকে যদি বাইক স্টার্ট দিয়ে কিছু সময়ের জন্য তা রেখে দেওয়া হয়, তাহলে ওই অংশের লুব্রিকেশন হয়ে যায়। এমনকি ঠান্ডার মৌসুমেও ইঞ্জিন কিছুক্ষণ গরম করে নিয়ে তবেই বাইক কিংবা গাড়ি চালানো উচিত। কারণ ওই সময় কম তাপমাত্রার কারণে ইঞ্জিন অয়েল ঘন হয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
বেশিরভাগ বাইক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেন যে, কিছুক্ষণের জন্য বাইক গরম করলে ইঞ্জিনের আয়ু বৃদ্ধি হয়। যারা বিএস-৬ বাইক চালান, তাদের বাইক ৬-৭ ঘণ্টা ধরে পার্ক করা থাকলে বাইকে স্টার্ট দেওয়ার পরে ১০ সেকেন্ডের জন্য চালু করে অপেক্ষা করতে হবে। আবার যারা বিএস-৪ বাইক ব্যবহার করেন, তাদের বাইকের ইঞ্জিন গরম হওয়ার জন্য ১৫-২০ সেকেন্ড অপেক্ষা করা উচিত।
স্টার্ট করেই বাইক নিয়ে দৌড়
বাইক ৫-৬ ঘণ্টা ধরে পার্ক করা থাকলে ইঞ্জিনের পিচ্ছিল ভাব হ্রাস পায়। এই পরিস্থিতিতে বাইক চালিয়েই বাইক ছোটানো উচিত নয়। যার জেরে ইঞ্জিনের বিভিন্ন অংশ নষ্ট হতে পারে। আর অতিরিক্ত বাইক ছোটালে বেশি তেল পোড়ে, যা মাইলেজ কমিয়ে দেয়। কিন্তু ইঞ্জিনের আয়ু বাড়াতে গেলে এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। কারণ এতে ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে সঙ্গে সঙ্গে এই ক্ষতির প্রভাব দেখা যায় না। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে গিয়ে এই ক্ষতির প্রভাব দেখা দিতে থাকে। তাই আগে ইঞ্জিনকে গরম হতে দিতে হবে।
অতিরিক্ত বাইক রেস
বাইকে স্টার্ট দেওয়ার পরে দীর্ঘ সময় ধরে এটিকে হাই আরপিএম-এ চালানো উচিত নয়। দীর্ঘ সময় পরে বাইক চালু করলে কিছু সময়ের জন্য স্পিড বা গতি ঘণ্টা প্রতি ২৫-৩০ কিলোমিটার রাখা উচিত। এমনটা করলে ইঞ্জিন পিচ্ছিল হয়। আর ইঞ্জিন এবং গাড়ির অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অংশের ক্ষতির ঝুঁকিও অনেকাংশে কমে যায়। ১৫-২০ সেকেন্ডের মধ্যে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী বাইকের গতি বাড়ানো যেতে পারে।
এজেড