সাশ্রয়ী দামের সাব-কম্প্যাক্ট এসইউভি গাড়ির বাজারে টাটা নেক্সন একচেটিয়া রাজত্ব করে চলেছে। বেচাকেনার দিক থেকে এটিই সবার থেকে এগিয়ে। টাটা মোটরস বর্তমানে নেক্সন একাধিক জ্বালানির বিকল্পে এই গাড়ি অফার করে। আবার হরেক ট্রান্সমিশন অপশনেও বেছে নেওয়া যায়। আকর্ষণের বিষয়, এবারে প্যানোরামিক সানরুফসহ লঞ্চ হল এই গাড়ি।
টাটা নেক্সনের এই বিপুল জনপ্রিয়তার নেপথ্যে রয়েছে এতে উপলব্ধ একগুচ্ছে আধুনিক ফিচার্স। এতদিন গাড়িটি সিঙ্গেল পেন সানরুফসহ বেছে নেওয়া যেত। তবে এখন থেকে প্যানোরামিক সানরুফসহ কেনা যাবে নেক্সন। তবে গাড়িটির আইসিই মডেলের কয়েকটি হায়ার ট্রিমে এই বৈশিষ্ট্য উপলব্ধ হয়েছে। ফলে দেশের মধ্যে মাহিন্দ্রা এক্সইউভি থ্রিএক্স০-এর পর এটিই দ্বিতীয় সাব-কম্প্যাক্ট এসইউভি যাতে এই ফিচার দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
টাটা নেক্সনের কেবল ফিয়ারলেস প্লাস ট্রিমে দেওয়া হয়েছে এই প্যানোরামিক সানরুফ ফিচার। মডেলটির পেট্রোল ম্যানুয়াল ভ্যারিয়েন্টের দাম ভারতে ১৩.৬০ লাখ রুপি। এটি আবার পেট্রোল অটোমেটিক, ডিজেল ম্যানুয়াল এবং ডিজেল অটোমেটিক ভ্যারিয়েন্টে উপলব্ধ রয়েছে। প্যানোরামিক সানরুফ, ভয়েসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এই ফিচার যুক্ত মডেলে দেওয়া হয়েছে ৮টি স্পিকারসহ জেবিএল অডিও সাউন্ড সিস্টেম।

এদিকে গত বছর প্যানোরামিক সানরুফসহ আগের মাসে নেক্সন আইসিএনজি লঞ্চ করেছিল টাটা মোটরস। এর ক্রিয়েটিভ প্লাস ট্রিমে এই বৈশিষ্ট্য অফার করা হয়েছে। এর দাম ১২.৮০ লাখ রুপি। এটি ভারতের প্রথম সিএনজি মডেল যাতে প্যানোরামিক সানরুফ অফার করা হয়েছে।
টাটা নেক্সনের আইসিই দুই ধরনের ইঞ্জিন অপশনে বেছে নেওয়া যায় – ১.২ লিটার টার্বোচার্জড পেট্রোল এবং ১.৫ লিটার ডিজেল ইউনিট। প্রথমটি থেকে ১১৮ বিএইচপি শক্তি এবং ১৭০ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। যেখানে দ্বিতীয় মডেলের আউটপুট ১১৪ বিএইচপি শক্তি এবং ২৬০ এনএম টর্ক।
বিজ্ঞাপন
ট্রান্সমিশন বিকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ৫-গতির ম্যানুয়াল, ৬-স্পিড ম্যানুয়াল, ৬-ধাপ এএমটি এবং ৭-গতির ডুয়েল-ক্লাচ অটোমেটিক। নেক্সনের সিএনজি সংস্করণে ১.২-লিটার টার্বোচার্জড পেট্রোল ইঞ্জিন উপলব্ধ। যা ৬-স্পিড ম্যানুয়াল গিয়ারবক্সসহ বেছে নেওয়া যায়। এর আউটপুট ১০০ বিএইচপি এবং ১৭০ এনএম টর্ক।
এজেড

