শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

রয়েল এনফিল্ডের এই ৩ মডেল থেকে চোখ ফেরাতে পারে না মেয়েরা

অটোমোবাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪০ এএম

শেয়ার করুন:

royal enfield bangladesh

রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেলকে রাজকীয় বাহন বলা হয়। এর নান্দনিক ডিজাইন এবং শক্তিশালী ইঞ্জিনের কারণে সব বয়সীরা এই বাইক পছন্দ করেন। কিন্তু কিছু কিছু মডেল আছে সেগুলো চোখের পাতা ফেলতে পারে না পুরুষ থেকে মহিলা। পাশ দিয়ে গেলে মন বলে আরেকবার তাকাই। তরুণ-তরুণীদের পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে ভালো মতই ওয়াকিবহাল রয়েল এনফিল্ড।

আরও পড়ুন: রয়েল এনফিল্ড দেশের বাজারে ৪ মডেলের মোটরসাইকেল আনল, জানুন দাম


বিজ্ঞাপন


এসব ছাড়াও রয়েল এনফিল্ডের জনপ্রিয়তার আরও একটি কারণ হল সংস্থার মোটরসাইকেলের অনবদ্য ডিজাইন। পুরনো রেট্রো স্টাইলের সঙ্গে মডার্ন ডিজাইনের নিখুঁত মিশ্রণ ১০ জনের মধ্যে ৯ জন গ্রাহককে আকর্ষিত করে। যার ফলে বিশ্বজুড়ে এত জনপ্রিয় রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেল।

royal

পৃথিবীতে বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও মডেলের মোটরসাইকেল আছে। প্রত্যেকটি মোটরসাইকেলই আলাদা আলাদা ধরনের। কোনোটা অফ-রোডিংয়ের জন্য তো কোনোটা সিটি রাইডিং। স্ক্র্যাম্বলার থেকে ত্রুজার দুই ধরনের মোটরসাইকেলই বিক্রি করে সংস্থা। তবে তার মধ্যে থেকে এই ৩ বাইক সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে গ্রাহকদের। একনজরে দেখে নিন সেই ৩ মডেল।

re


বিজ্ঞাপন


রয়েল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০ 

নামেও ক্লাসিক পারফরম্যান্সেও ক্ল্যাসিক মোটরসাইকেল এই মডেল। রয়েছে ৩৪৯ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন, বাইকের ফুয়েল ক্যাপাসিটি ১৩ লিটার এবং মাইলেজ দেয় ৪১.৫৫ কিলোমিটার। টুইন ডাউনটিউব চেসিস বাইকের ফ্রেম আরও মজবুত করে। দুর্দান্ত ব্রেকিংয়ের জন্য রয়েছে ডিস্ক ব্রেক সঙ্গে ডুয়াল চ্যানেল অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম (এবিএস)।

আরও পড়ুন: ৩৫০ সিসির নতুন মোটরসাইকেল আনল রয়েল এনফিল্ড

রয়েল এনফিল্ড ক্লাসিক বাইকের সিট হাইট ৮০৫ মিলিমিটার এবং হুইলবেস ১৩৯০ মিলিমিটার, গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স রয়েছে ১৭০ মিলিমিটার। বাইকের কার্ব ওয়েট ১৯৫ কেজি। লাইটিংয়ের ক্ষেত্রে হ্যালোজেন হেডলাইট ও টেললাইট রয়েছে। এ বাইক ৩ ধরনের রঙে বাড়ি আনতে পারবেন - ক্রোম রেড, ক্রোম ব্রোঞ্জ এবং গানমেন্টাল গ্রে।

re_2

রয়েল এনফিল্ড কন্টিনেন্টাল ৬৫০

৩৫০ সিসি থেকে এবার চলে আসুন ৬৫০ সিসিতে। এই রেঞ্জে জনপ্রিয় রয়েল এনফিল্ড কন্টিনেন্টাল ৬৫০। এই বাইকে রয়েছে সংস্থার লেজেন্ডারি টুইন সিলিন্ডার ইঞ্জিন যা সর্বোচ্চ ৪৭ হর্সপাওয়ার শক্তি তৈরি করতে পারে। শহরের পাশাপাশি লং ট্রিপে অনায়াসে বেরিয়ে পড়তে পারেন এই বাইকে করে।

আরও পড়ুন: রয়েল এনফিল্ডের কোন মডেল সবচেয়ে বেশি মাইলেজ দেয়?

রয়েল এনফিল্ড কন্টিনেন্টালে রয়েছে চাবুক ব্রেকিং বৈশিষ্ট্য। ডিস্ক ব্রেকের সঙ্গে এতে রয়েছে অ্যান্টি লকিং ব্রেকিং সিস্টেম। মেটাল বডির দাপুটে মোটরসাইকেল রয়েল এনফিল্ড কন্টিনেন্টাল, এতে পাবেন ইউএসবি পোর্ট এবং এলইডি হেডল্যাম্প। রঙের ক্ষেত্রে বিকল্প রয়েছে স্লিপস্ট্রিম ব্লু, অ্যাপেক্স গ্রে এবং ডাক্স ডিলাক্স।

hunter

রয়েল এনফিল্ড হান্টার ৩৫০ 

৬৫০ সিসি থেকে আবার নেমে যাওয়া যাক ৩৫০ সিসিতে। যদিও এই সেগমেন্টে একাধিক দারুণ মোটরসাইকেল রয়েছে যেমন বুলেট এবং মেটিওর। কিন্তু সেসব ছেড়ে হান্টারের কথা কেন বলছি? আসলে ভারতে বাইকটির বিক্রি পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে কেন এটি এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ক্রেতাদের মাঝে।

আরও পড়ুন: রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেল যেভাবে বিশ্ব জয় করল

সংক্ষিপ্ত হুইলবেস, শক্ত ফ্রেম এবং রেট্রো-মেট্রো অ্যাসথেটিক লুক রয়েছে এই বাইকের। মাইলেজ দেয় প্রায় ৩৬ কিলোমিটার, ফুয়েল ক্যাপাসিটি ১৩লিটার। রয়েছে ডিস্ক ব্রেক এবং ডুয়াল চ্যানেল অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেমও। ফিচার্সের ক্ষেত্রে মিলবে ডিজিটাল কনসোল, ইউএসবি চার্জিং পোর্ট এবং এলইডি টেললাইট।

রঙের ক্ষেত্রে মেট্রো ভেরিয়েন্টে মিলবে - ড্যাপার হোয়াইট, ড্যাপার অ্যাশ, ড্যাপার গ্রে, রেবেল ব্যাক, রেবেল ব্লু এবং রেবেল রেড। অন্যদিকে রেট্রো ভেরিয়েন্টে থাকছে - ফ্যাক্টরি ব্ল্যাক এবং ফ্যাক্টরি সিলভার।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর