শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

‘মার্সিডিজ’ গাড়ির নামকরণের পেছনে রয়েছে এক মেয়ের অনুপ্রেরণার গল্প

অটোমোবাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪০ পিএম

শেয়ার করুন:

car

মার্সিডিজ নামটি গাড়ির জগতে এখন সুপরিচিত। জার্মানির এই গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের তৈরি বাহন সারা বিশ্বে খুবই জনপ্রিয়। এর নাম ‘Mercedes-Benz’ এবং এটি আইকনিক তিন-পয়েন্টেড স্টার লোগো দ্বারা সুপরিচিত। কিন্তু, বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত এই ব্র্যান্ডের নামকরণের পেছনের চমকপ্রদ ইতিহাস অনেকেই জানেন না।

Mercedes-Benz-এর সিইও প্রকাশ করেছেন, কীভাবে ‘মার্সিডিজ’ নামটি সামনে এসেছে। এর আসল কারণ যে কাউকে হতবাক করতে পারে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ঘুরপাক খাচ্ছে। যেখানে মার্সিডিজ-বেঞ্জের সিইও ওলা ক্যালেনিয়াস (Ola Kallenius) নামের পিছনে অনুপ্রেরণা প্রকাশ করে এর আকর্ষণীয় গল্প সকলের সঙ্গে শেয়ার করেছেন৷


বিজ্ঞাপন


কার্ল বেঞ্জ এবং গটলিব ডেমলার (Karl Benz, Gottlieb Daimler) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, কোম্পানিটি প্রাথমিকভাবে ডেমলার মটোরেন গেসেলশ্যাফ্টের (ডিএমজি) (Daimler Motoren Gesellschaft) অধীনে ডেমলার-বেঞ্জ (Daimler-Benz) নামে পরিচিত ছিল।

ar

ডেমলারের মৃত্যুর পর, এমিল জেলেনেক (Emil Jellinek) যোগ দেন এবং ১৯০০ সালে মার্সিডিজ ৩৫ হর্স পাওয়ার তৈরিতে সাহায্য করেন। তার মেয়ে মার্সিডিজের (Mercedes) নামে এটির নামকরণ করেন, যার অর্থ স্প্যানিশ ভাষায় ‘দয়া’।

আরও পড়ুন: গাড়ির স্টিয়ারিং ধরার সঠিক নিয়ম জানেন না অনেকেই


বিজ্ঞাপন


‘মার্সিডিজ’ নামটি একজন প্রতিষ্ঠাতা বা প্রকৌশলীর কাছ থেকে আসেনি। ক্যালেনিয়াস প্রকাশ করেছিলেন যে, এটি আসলে এমিল জেলেনেকের মেয়ে মার্সিডিজ জেলেনেকের নাম।

এমিল জেলিনেক ছিলেন একজন অস্ট্রিয়ান শিল্পপতি এবং একজন রেসিংয়ে উৎসাহী। মার্সিডিজ-বেঞ্জ নামটি মার্সিডিজ জেলিনেক এবং কার্ল বেঞ্জকে একত্রিত করেছে, আগে নাম ছিল শুধু ‘মার্সিডিজ।’১৯০২ সালে এর ট্রেডমার্ক করা হয়।

car

যদিও কোম্পানিটি ডেইমলার-বেঞ্জ হিসাবে অব্যাহত ছিল, গাড়ি লাইনটি মার্সিডিজ বেঞ্জ নামে পরিচিতি লাভ করে। জেলেনেকের উৎসাহ এবং তার মেয়ের নামে একটি নতুন গাড়ির নাম রাখার পরামর্শে মুগ্ধ হয়ে, ডিএমজি ১৯০২ সালে ‘মার্সিডিজ’ ট্রেডমার্ক করেছিল।

মার্সিডিজ-বেঞ্জ: একটি তারকার জন্ম

মার্সিডিজ-বেঞ্জের লোগোতে, একটি বৃত্তে আবদ্ধ একটি তিন-পয়েন্টেড তারকা সমন্বিত রয়েছে। এর পিছনেও একটি চিত্তাকর্ষক গল্প রয়েছে। এটি ১৮৭০ এর দশকে গটলিব ডেমলারের পাঠানো একটি পোস্টকার্ডের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হয়। এটি স্থলে, সমুদ্রে এবং বাতাসে ডেমলার ইঞ্জিন ব্যবহারের প্রতীক।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর