এখানকার সব গাড়িতেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি থাকে। এসি অন করে গাড়ি চালালে মাইলেজ অনেকটাই কমে। এসি গাড়ির জ্বালানি খরচ কেমন তা নির্ভর করে বাইরের তাপমাত্রা, আর্দ্রতার স্তর এবং এসির আকার ও কার্যকারিতার ওপর। বড় এসিতে জ্বালানি খরচ বেশি হবে। ছোট এসিতে কম তেল পুড়বে। আবার পুরনো বা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না এমন এসিকে বাতাস ঠান্ডা করার জন্য বেশি খাটতে হয়, ফলে তেলও বেশি পোড়ে।
বাংলাদেশের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে গাড়িতে এসি না থাকলে মুশকিল। গরমে ঘেমে যেতে হয়। গরম এবং আর্দ্র আবহাওয়ায় আরামদায়ক ড্রাইভিংয়ের জন্যই এসির প্রয়োজন। তবে অনেকেই এসি থাকলেও চালান না। এর পিছনে থাকে, বেশি পেট্রোল খরচের উদ্বেগ।
বিজ্ঞাপন
গাড়িতে এসি চালালে কী সত্যিই বেশি তেল পোড়ে? সোসাইটি অব অটোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ার্সের করা একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, এসির কারণে গাড়ির জ্বালানি দক্ষতা ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। কারণ কম্প্রেসার চালানোর জন্য ইঞ্জিনের শক্তিকেই ব্যবহার করা হয়। ফলে তেল পোড়ে।
এখন প্রশ্ন হল, এসি চলালে কতটা তেল পোড়ে? এটা নির্ভর করে বাইরের তাপমাত্রা, আর্দ্রতার স্তর এবং এসির আকার ও কার্যকারিতার উপর। বড় এসিতে জ্বালানি খরচ বেশি হবে। ছোট এসিতে কম তেল পুড়বে। আবার পুরনো বা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না এমন এসিকে বাতাস ঠান্ডা করার জন্য বেশি খাটতে হয়, ফলে তেলও বেশি পোড়ে।
বিজ্ঞাপন
বাইরের তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার স্তরও জ্বালানি খরচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন বাইরের তাপমাত্রা বেশি থাকে, তখন এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেমকে বাতাস ঠান্ডা করার জন্য বেশি খাটতে হয়। ফলে জ্বালানি খরচও বেশি হয়। একইভাবে আর্দ্রতার মাত্রা বেশি থাকলেও এসিকে বাতাস থেকে আর্দ্রতা অপসারণের জন্য বেশি পরিশ্রম করতে হয়। যার ফলে বেশি জ্বালানি খরচ হয়।
আবার গাড়ির ধরনও জ্বালানি খরচকে প্রভাবিত করে। ছোট ইঞ্জিন সহ ছোট যানবাহন চালানোর খরচ বড় ইঞ্জিন বা বড় গাড়ির তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম। ইলেকট্রনিক ভেহিক্যালে এসি চালানো হয় বৈদ্যুতিক মোটরের সাহায্যে। ইঞ্জিনের উপর চাপ পড়ে না।
আরও পড়ুন: পেট্রোল আসল নাকি নকল বুঝবেন যেভাবে
তাহলে এসি চালালে কত তেল খরচ হবে, সেটা নির্ভর করছে উপরোক্ত কারণগুলোর উপর। তবে দেখা গিয়েছে, এসির কারণে গড়ে প্রতি ঘণ্টায় ০.২ লিটার থেকে ০.৪ লিটার পর্যন্ত জ্বালানি খরচ হতে পারে। শুনলে মনে হবে খুবই কম, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই পরিমাণ বাড়তে থাকে। বিশেষ করে দীর্ঘ ভ্রমণে।
এজেড
